নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক আজিজ মোহাম্মদ ভাই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক আজিজ মোহাম্মদ ভাই ২৭ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বর্তমান বাজারদরে পাবলিক মার্কেট থেকে উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার কিনবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮০২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তিন পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ৫০ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৮৮ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৪৯ পয়সা।
গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বা ১ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৪৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৭ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৬১ হাজার ৬৩৬টি শেয়ার মোট ২৩৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮৯ লাখ টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৪১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৭৮ পয়সা, আর ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ১২ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ৯৫ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৬ টাকা ৩ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য ছিল ৪৬ টাকা ৮৪ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৩ টাকা ৫১ পয়সা। আর ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, আর ২০২১ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ২১ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৫২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা ১৩ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ২২ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৮৪ পয়সা।