নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোক্তা জুবায়ের কবির শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, জুবায়ের কবির বর্তমানে এক্সিম ব্যাংকের ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৬০০টি শেয়ার ধারণ করছেন। তার ধারণকৃত মোট শেয়ার থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার বেচবেন। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পাবলিক অথবা ব্লক মার্কেটে উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার বেচবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটেগরির এ ব্যাংকটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৪৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৩৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হতে দেখা যায়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১০টি শেয়ার মাত্র ১ বার লেনদেন হয়।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১৮ পয়সা। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় প্রথমার্ধে ইপিএস বেড়েছে সাত পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৭ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৬১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ২১ টাকা ৪২ পয়সা (ঘাটতি) ছিল।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৯ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭২ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৩৭ পয়সা।