নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা খন্দকার মোহাম্মদ খালেদ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা খন্দকার মোহাম্মদ খালেদের কাছে কোম্পানির মোট ৭০ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৫টি শেয়ারের মধ্যে ছয় লাখ শেয়ার বিক্রি করবেন। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বর্তমানে বাজারদরে ব্লক মার্কেটে উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করবেন তিনি।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাড়ে ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪৭ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৪৬ পয়সা। এছাড়া ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৭ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ২৩ টাকা ৮৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ২৩ টাকা ৫৭ পয়সা। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ১২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৯৭ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২৩ পয়সা।
এছাড়া গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে চার লাখ ১২ হাজার ২১৬টি শেয়ার মোট ৮১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭২ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪০২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৩ কোটি ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭৮টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৩৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী তিন দশমিক ৪০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।