নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা তোফাজ্জল হোসেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তোফাজ্জল হোসেন ব্যাংকটির ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৩ হাজার ২২৫টি শেয়ার ধারণ করছেন। এর মধ্য থেকে তিনি সাত লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বর্তমান বাজারদরে পাবলিক অথবা ব্লক মার্কেটের মাধ্যমের উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার বেচবেন ব্যাংকটির উদ্যোক্তা তোফাজ্জল হোসেন।
‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের রিজার্ভে রয়েছে এক হাজার ২৬৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৪৫ দশমিক ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন দশমিক ০১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৬ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৮ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে। ওইদিন ১৯ লাখ ৬১ হাজার ২১৩টি শেয়ার মোট ২৭৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় অপরিবর্তীত রয়েছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিত৩ীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস অপরিবর্তীত রয়েছে। তবে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ২ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ১৪ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩৬ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ২০ টাকা ৮২ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ টাকা ৪৮ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৪৮ পয়সা।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২২ পয়সা। আগের হিসাববছরেও ছিল একই। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩৮ পয়সায়, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১৯ টাকা ৭২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১২ শতাংশ নগদ এবং ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৭ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা।