শেয়ার বেচবে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের করপোরেট পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র খাতের কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের করপোরেট পরিচালক আলিফ টেক্সটাইল লিমিটেড শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, করপোরেট পরিচালক আলিফ টেক্সটাইল লিমিটেড কোম্পানির এক কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার ৯১৩টি শেয়ারের মধ্য থেকে ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬১টি শেয়ার বিক্রি করবেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বর্তমান বাজারদরে সাধারণ মার্কেটে উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করবে।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ছয় টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ছয় টাকা ৮০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির এক কোটি ২৫ লাখ পাঁচ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৪৪২টি শেয়ার মোট ৫০০ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ছয় টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ সাত টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ছয় টাকা থেকে ১৩ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি দুই শতাংশ নগদ ও আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৭৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত গুলশান ক্লাব লিমিটেডে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় দুই পয়সা ছিল।

বস্ত্র খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরে ছিল ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ১৩ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ১৯ টাকা দুই পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২১ কোটি পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা। 

৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৪০ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৪ কোটি ছয় লাখ ৭৩ হাজার ১৬৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫০ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০