নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারের এসএমই প্ল্যাটফর্মে শেয়ার কেনাবেচার জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারী হতে ন্যূনতম বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকা থাকতে হবে। হাইকোর্টের আদেশের পর আগামী অক্টোবর থেকে এই ন্যূনতম বিনিয়োগসীমা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিাবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এক বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের এক্সচেঞ্জের ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমে (ইএসএস) যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে নিবন্ধনের জন্য বাজার মূল্যে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে একজন বিনিয়োগকারী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছিলেন, যাতে এসএমই বোর্ডে ট্রেড করার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের জন্য ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
হাইকোর্ট রিটটি খারিজ করে দেয়।
ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচার জন্য ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজনে বিএসইসির নির্দেশনা পুনর্বহাল করা হয়েছে।
বিএসইসি ২০২১ সালে এসএমই বোর্ডের জন্য ন্যূনতম বিনিয়োগের সীমা ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে। পরে কমিশন সীমা কমিয়ে ২০ লাখ টাকা করে। কারণ বিনিয়োগকারীরা শর্ত মেনে এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ছিলেন না।
বিনিয়োগের সীমা কমানোর পর যখন এসএমই বোর্ডে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যায়, তখন ছোট-ক্যাপ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম মূল বাজারের তুলনায় তুলনামূলক দুর্বল হলেও দ্রুত বেড়ে যায়। বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে বিএসইসি এসএমই বোর্ডে লেনদেনের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীর জন্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ন্যূনতম বিনিয়োগের সীমা বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করে।
সে সময় বিনিয়োগকারীরা যারা ইতোমধ্যে এসএমই বোর্ডে ২০ লাখ টাকার পোর্টফোলিওতে শেয়ার লেনদেন করেছেন তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করার জন্য তিন মাস সময় দেয় বিএসইসি।
তবে বিএসইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট দায়েরের পর ডিএসই আদালতের আদেশ অনুসারে এসএমই বোর্ডে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের অনুমতি দেয়। চলতি বছরের জুনে আদালত রিট খারিজ করে এবং সম্প্রতি চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের এসএমই প্ল্যাটফর্ম চালু করেছিল, যাতে ছোট পুঁজির ব্যবসাগুলোকে পুঁজিবাজারে আকৃষ্ট করা যায় এবং তাদের মূলধন বাড়াতে সহায়তা করা যায়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ডিএসই’র এসএমই বোর্ড ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই-সিএসই) ১৭টি কোম্পানি এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
