নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম এবং পরিচালক এসএম মনজুরুল আলম অভী শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এসএম মাহবুবুল আলম তার ধারণকৃত মোট শেয়ার থেকে ৬০ লাখ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। স্ত্রী জাকিয়া সুলতানাকে ট্রেডিং সিস্টেমের বাইরে উপহার হিসেবে এই শেয়ার দেবেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম।
অন্যদিকে কোম্পানিটির পরিচালক এসএম মনজুরুল আলম অভী মোট এক কোটি ২০ লাখ শেয়ার হস্তান্তর করবেন। এর মধ্যে বাবা এসএম নুরুল আলম রিজভীকে ৬৮ লাখ ৫৭ হাজার ১৪২টি এবং মা সুলতানা পারভীন লাকীকে ৫১ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৮টি শেয়ার ট্রেডিং সিস্টেমের বাইরে উপহার হিসেবে দেবেন।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১০ হাজার ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। মোট ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর ২ দশমিক ১৯ শতাংশ বা ১৩ টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৯৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪৮ হাজার ৪১৪টি শেয়ার মোট এক হাজার ৪১১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪২৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে এক হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সম্প্রতি প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩৫০ শতাংশ এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৪ টাকা ৭৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়িত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭৯ টাকা ৩০ পয়সায়। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৭৭ টাকা ৮৬ পয়সায়। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৬ টাকা ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটির ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৯ অক্টোবর দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়িত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সায়। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪২ টাকা ১৮ পয়সায়। এর আগে কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ টাকা ১৬ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩৪ টাকা ৬৪ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়নসহ), ২৩১ টাকা ৩৪ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৯১ পয়সা (ঘাটতি)।