নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা খাতের কোম্পানি কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক হাসিনা নিজাম এবং পরিচালক নিজাম উদ্দীন আহমেদ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক হাসিনা নিজামের কাছে কোম্পানির মোট ২০ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭৫টি শেয়ারের মধ্যে চার লাখ ২৮ হাজার ৩০০ শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সিস্টেমের বাইরে উপহার হিসেবে পুত্র নাসির উদ্দীন আহমেদকে দেবেন।
আর কোম্পানি পরিচালক নিজাম উদ্দীন আহমেদের কাছে কোম্পানির মোট ১৩ লাখ চার হাজার ৭৯০টি শেয়ারের মধ্যে তিন লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সিস্টেমের বাইরে উপহার হিসেবে কন্যা উম্মে খাদিজা মেঘনাকে দিবেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসই’র অনুমোদন সাপেক্ষে উল্লিখিত পরিমাণ হস্তান্তর করবেন।
এদিকে প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৬ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৮ টাকা পাঁচ পয়সা।
আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৪ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮৫ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৮ টাকা ২৯ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে এক টাকা ২৫ পয়সা ও ১৭ টাকা ৬৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ছয় শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা তার আগের বছরের সমান। ২০১৮ সালের কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ৩১ পয়সা। আর তার আগের বছর ছিল এক টাকা ৫১ পয়সা।
ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২২ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯৫ হাজার ১৫টি শেয়ার মোট ১০৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ২১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১৬ দশমিক ৫৬ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৭ দশমিক ২২।
কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ কোটি আট লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট চার কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।