প্রতিনিধি, শেরপুর : আজ ২৫ জুলাই শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এ দেশীয় দোসর সোহাগপুর গ্রামের মানুষের ওপর তা-ব চালিয়ে নির্বিচারে গুলি আর বেয়নেট চার্জ করে ১৮৭ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। পাশবিক নির্যাতন করে ১২ গৃহবধূর ওপর। নিযার্তিতরা ইতোমধ্যে বিরাঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছেন। বিধবারা পেয়েছেন ২৯টি ঘর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাসিক ভাতা। তাই শোকের মাঝেও গ্রামটিতে এখন বইছে সুখের বাতাস। তবে ৩৭ বিধবার মধ্যে বার্ধক্যজনিত কারণে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন বেঁচে আছেন ২৩ বিধবা।
প্রতি বছরের মতো এবারও দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। আজ ২৫ জুলাই (সোমবার) বিকাল ৩টার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। এ সময় শহীদদের উদ্দেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও গণহত্যায় শহীদদের উদ্দেশে স্মৃতিচারণ, শহীদ বেদিতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবেন বীরাঙ্গনা ও শহীদ পরিবারের সন্তানরা।
উল্লেখ্য, ওই গণহত্যার দায়ে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পরবর্তীতে গ্রামটি নেক নজরে পড়ে প্রশাসনের। ১২ জন নির্যাতিতাকে দেয়া হয় বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি। ২৯ জন স্বামী-সন্তানহারা বিধবাকে দেয়া হয় একটি করে পাকা ঘর, দেয়া হয় ট্রাস্ট ব্যাংক ও ব্র্যাক থেকে আজীবন মাসিক ২৪০০ টাকার ভাতা। শোকের মাঝেও এখন তাদের মধ্যে বইছে সুখের বাতাস।