প্রতিনিধি, শেরপুর : শেরপুর সদর উপজেলার ৫নং ধলা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, পেশিশক্তির দাপটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৯ ইউপি সদস্য রেজুলেশন করে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা গত ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ১৩ জুন ইউপি চেয়ারম্যানের সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অনুলিপি দেন ইউপি সদস্যরা।
তবে দীর্ঘদিন অনাস্থা প্রস্তাবটি ঝুলে থাকায় একপর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের মাঝে সমঝোতা করে এলাকার উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু এর রেশ কাটতে না কাটতেই পুনরায় চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেন ইউপি সদস্যরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে।
অপরদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌসের কাছে কোনো প্রতিকার পাননি ইউপি সদস্যরা। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য উজ্জ্বল মিয়া জানান, চেয়ারম্যান সাহেব ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ওয়ার্ড সদস্যদের কোনো পাত্তা না দিয়ে নিজের ইচ্ছামত সবকিছু একাই করে যাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে তিনি বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখান। কোনো বরাদ্দের বিষয়ে আমাদের অবগত না করে তিনি একাই সিদ্ধান্ত নেন।
আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে। মেম্বারদের অনৈতিক আবদার পূরণ করতে না পারায় আমি পরিস্থিতির শিকার। এর আগেও তারা একটি অভিযোগ করেছিলেন। সেটি সমাধান হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, অনাস্থার বিষয়ে অনেক মেম্বার কিছুই জানেন না। কিছু দালাল প্রকৃতির লোক উসকানি দিয়ে এমনটা করাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস অনাস্থা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যদি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে চেয়ারম্যান মেম্বারদের মধ্যে কোনো সমাধানে না আসেন, সেক্ষেত্রে একটি তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
