শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের পানি কমলেও প্লাবিত হচ্ছে নিন্মাঞ্চল

রফিক মজিদ, শেরপুর : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার মহারশি নদীর পানি কমতে শুরু করায় উপজেলা সদর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এ পানি গড়িয়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উজানে ভারতের মেঘালয়ের বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের শেরপুরের ঝিনাইগাতি, শ্রীবর্দী এবং নালিতাবাড়ীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহারিশ, ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। ফলে ঝিনাইগাতি উপজেলা সদরের বিভিন্ন কার্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়ি এবং বিভিন্ন সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। এ ঘটানার পর থেকেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ঢলের পানির সার্বিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা সদরের পানি নামতে শুরু করলেও উপজেলার ভাটি বা নি¤œাঞ্চলে পানি নামার কারণে ওই এলাকার ফসলি জমি ও বাড়ি-ঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে।

ঢলের পানির বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী শাহাজাহান মিয়া জানায়, ভারতের মেঘালয়ে গত বুধবার ১৫০ মিলিমিটার রেকর্ড পরিমাণের বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে ওই পানির ঢলে বাংলাদেশের আমাদের এ জেলার বিভিন্ন নদী উপচে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এ ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কাল রাত থেকেই পানি কমতে শুরু করেছে। আসলে ঝিনাইগাতি উপজেলার মহারশি নদী তুলনামূলকভাবে চাপা হওয়ায় উজানের পানির চাপ ধরে রাখতে পারে না। এজন্য প্রতি বছরই বাঁধে ভাঙন এবং নদী উপচে পানি প্রবাহিত হয়। তবে সকাল থেকে প্রায় আড়াই মিটার পানি নেমে গেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০