প্রতিনিধি, শেরপুর: ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একপাল বন্যহাতির তাণ্ডবে এক দিনমজুরের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত ওই দিনমজুরের নাম আব্দুল মোতালেব। তিনি ওই এলাকার মৃত জানলি শেখের ছেলে। তিনি জানান, রাত আড়াইটার দিকে বন্যহাতির একটি দল তার বাড়িতে প্রবেশ করে বসতঘরের সিমেন্টের খুঁটি, বেড়া, রান্না ঘর ভেঙে তছনছ করে। বসত ঘরে থাকা আলনা, ফ্রিজ, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড়সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পা দিয়ে পিষে নষ্ট করে। শুধু তাই নয়, ঘরে রাখা চাল ও ধান নষ্ট করেছে ক্ষুধার্ত হাতির দলটি। এ সময় ঘরবাড়ি ফেলে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যান তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির দল। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ পেয়ে গতকাল দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িটি পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী বন সংরক্ষক (প্রবি) ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মো. রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রহমত আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গারো পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। বন্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে কাঁচা ধান, সবজি, গাছ-পালাসহ মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
সহকারী বন সংরক্ষক (প্রবি) ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, গারো পাহাড়ে প্রায় বছরই বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে জানমালের ক্ষতি করে। বন বিভাগের আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মোতালেবকেও সহযোগিতা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সহযোগিতা করা হবে।