শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও বুধবার রাত থেকে আবারও জেলার উত্তরের পাহাড়ি বিভিন্ন নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমা অব্যাহত রয়েছে এবং বিপদ সীমানার অনেক নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতি ও শ্রীবর্দী উপজেলার পাহাড়ি ভোগাই, চেল্লাখাখি, মহারশি ও সুমেশ্বরী নদী দিয়ে উজানের ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় সম্প্রতি উল্লেখিত উপজেলার প্রায় ৫০ গ্রাম পানি বন্দি হয়ে পড়ে। ওইসব গ্রাম থেকে পানি নেমে গেলেও এখনও সামন্য কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি থাকায় কৃষকরা আমন এর বীজতলা রোপনের প্রস্তুতি নিতে পারছে না। এছাড়া পানি নেমে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে নানা রোগ বালাই। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাছের খামারসহ বিভিন্ন গ্রামীণ অবকাঠামো বিধ্বস্থ হওয়ায় এখনও অনেক মানুষ স্বাভাবিক জীবন-যাপনেযেতে পারেনি।
পানি বাহিত রোগবালাইয়ের বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন অনুপন ভট্টাচার্য জানায়, বন্যা দুর্গত এলাকায় আমাদের মেডিকের টিম কাজ করছে। পানিবাহিত ডায়রিয়া যা হচ্ছে তা এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিদিন আমরা ১৫ থেকে ২০ জন রোগির খবর পাচ্ছি। এসব বিষয়ে আমাদের বন্যা দুর্গত ৩ উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া আছে।
তবে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বন্যা পুর্নবাসনের জরিপ কাজ চলছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন বিভাগ। এবিষয়ে ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মাসুদ জানায়, যারা ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য সগযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছেন তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ে জরিপ শেষে দুই বান করে টিন ও ৬ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহজাহান জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার পুরাতন বহ্মপুত্র নদের পানি কমা অব্যাহত থাকলেও জেলার উত্তরের পাহাড়ি নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে দেখা গেছে, নালিতাবাড়ি ভোগাই নদীর পানি গতকাল ৪৮২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ তা বেড়ে ৩২৬ সেন্টিমিটার নীচ নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বিকেল নাগাদ পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মহারিশি, চেল্লাখালি ও সুমেশ্বরী নদীর পানিও একই সমান্তরালে পানি বাড়ছে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়।
