শেরপুরে ভ্রমণকর নিয়ে বিপাকে ভ্রমণকারীরা

রফিক মজিদ, শেরপুর প্রায় সোয়া ৩ বছর পর শেরপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ নাকুগাঁও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন বা ভারতে যাত্রী পারাপার চালু হলেও ভ্রমণ কর পরিশোধ করা নিয়ে বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। দেশের সব ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ভ্রমণ কর পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সোনালী ব্যাংকের শাখা এবং বুথ রয়েছে। সেইসঙ্গে অনলাইনেও ভ্রমণকর পরিশোধের সুবিধা রয়েছে। ফলে ওইসব ইমিগ্রেশন পয়েন্টে সপ্তাহের যে কোনো দিন ভারত গমন ইচ্ছুক ভ্রমণকারীদের ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। কিন্তু শেরপুরের নাকুগাঁও ইমিগ্রেশনের অনলাইনে ভ্রমণ কর দেয়ার পারমিট না থাকায় নির্ভর করতে হয় প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংক শাখার ওপর। সম্প্রতি নাকুগাঁও কাস্টমস বিভাগে সোনালী ব্যাংকের বুথ চালু হলেও সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার সেই বুথ বন্ধ থাকে। ফলে ভ্রমণকারীরা ওই দু’দিন ভারত যেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

জানা গেছে, করোনার কারণে গত ২০২০ সালে ২৬ মার্চ ইমিগ্রেশন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ প্রায় সোয়া ৩ বছর পর চলতি বছরের ২২ জুন থেকে ফের এ ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার চালু হয়। এরপর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী এবং ভ্রমণকারীরা চলাচল করছেন। কিন্তু নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে শুক্র ও শনিবার চলাচলরত যাত্রীরা ভ্রমণ কর পরিশোধ না করতে পাওয়ায়।

নালিতাবাড়ী উপজেলার পাথর-কয়লা ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা স্থানীয় তাই বিষয়টা জানার কারণে বন্ধের দিনে ভারত যাওয়ার জন্য আগেই ব্যাংক খোলার দিন ভ্রমণ কর পরিশোধ করে রাখি। তবে যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসছে তারা বিপদে পড়ছে। অনেকেই ঘুরেও যাচ্ছে।

ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার সমশের উদ্দিন জানান, ২২ জুন ইমিগ্রেশন খোলার পর ২৩ জুন মেঘালয় ভ্রমণের জন্য এখানে এসে ঘুরে যাই। পরে (আজ) ২৫ জুন ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে মেঘালয়ে যাচ্ছি।

নাকুগাঁও আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলনে, দেশের সব ইমিগ্রেশনে ব্যাংক বা বুথ শুক্র-শনি খোলা থাকলেও আমাদের এখানের বুথ বন্ধ থাকে। তাই অনেক ভ্রমণকারীর ভোগান্তি হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর দ্রুত সমাধান দাবি করি।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের শেরপুর অঞ্চলের ডিজিএম শ্যামল কুমার মন্ডল জানায়, দেশের সব ইমিগ্রেশনের জন্য ভ্রমণ কর পরিশোধ করা যায় অনলাইনেই। কিন্তু আমাদের শেরপুরের ইমিগ্রেশনটির নাম সংযুক্ত না থাকায় অনলাইনে ভ্রমণ কর দিতে পারছেন না ভ্রমণকারীরা। তবে বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। আশা করি, খুব দ্রুত অনলাইন সেবাটি চালু হয়ে যাবে। এটি চালু হলে যাত্রীদের আর কোনো সমস্যা থাকবে না। এছাড়া নাকুগাঁও বন্দরের বুথটি ব্যবসায়ীদের কাস্টমসের টাকা জমা দেয়ার জন্য খোলা হলেও ভ্রমণ করও নেয়া হয়। কিন্তু শুক্র ও শনিবার খোলা রাখার বিষয়টি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি। তবে আশার কথা হচ্ছে, কিছু দিনের মধ্যেই নাকুগাঁও স্থলবন্দর সংলগ্ন চাড়ালি বাজারে আমাদের একটি উপ-শাখা খোলা হবে। তখন এসব সমস্যা আর থাকবে না।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০