শেরপুরে সার সংকট কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত

প্রতিনিধি, শেরপুর: কৃষিপ্রধান খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত শেরপুর। এ জেলায় এখন বোরো (ইরি) রোপণের মৌসম চলছে। এ সময়ে বাজারে কৃষকের প্রয়োজনীয় মিউরেট অব পটাশ সারের (এমওপি/পটাশ) চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ বেশিরভাগ ডিলারদের কাছে পটাশ সার নেই। অনেক ঘুরেও এ সার পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যেখানে কিছু আছে সেখানে দাম বেশি নেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, এমওপি সার গাছের শিকরকে পোক্ত ও বড় করে। ধানের গাছ স্পষ্ট করে। ধান রোপণের সময় একবার ধান বের হওয়ার আগে আরেকবার এ সার ব্যবহার করা হয়। এমওপির সরকারি মূল্য প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা নির্ধারিত। এ সারটি গত ৭/৮ দিন যাবৎ হঠাৎ করে সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে ধান চাষিরা।

শহরের বেশ কয়েকটি সার ডিলারের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের কাছে এমওপি নেই। আবার কয়েকটি দোকানে কিছু আছে, যা সরকারি মূল্যের চেয়ে বস্তা প্রতি এক থেকে দেড়শ’ টাকা বেশি নিচ্ছে। আবার ওইসব সার খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১১০০ টাকায়।

শেরপুর শহরের সার ব্যবসায়ী গৌরব ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী প্রশান্ত সাহা বলেছেন, সার বিএডিসি সরবরাহ করতে পাচ্ছে না। তাই বাজারে সংকট রয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে তার কাছে ওই সার না থাকার দরুণ অন্যান্য সার বিক্রি কমে গেছে।

জেলা সার ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, বিএডিসি সরবরাহ করতে না পারার কারণে বাজারে এমওপির সংকট হয়েছে কিন্তু দাম বেশি নেয়া হচ্ছে এটা ঠিক নয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএডিসির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যে পরিমাণ সার সরবরাহ করা হয়েছে তাতে সংকট হওয়ার কথা নয়। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে কি না দেখা হচ্ছে।

শেরপুর বিএডিসির গুদামের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল আলম জানিয়েছেন, গত ১ জানুয়ারি ৭৩৬ টন এমওপি ডিলারদের সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকার শেরপুরের জন্য আরও এমওপি পাঠাইতে চাইলে গুদামে জায়গা না থাকায় নেয়া যায়নি। এখন জায়গা খালি হয়েছে। এমওপি আসা শুরু হয়েছে। এখন চাহিদা মতো ডিলারদের সরবরাহ করা হবে। দুই এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০