প্রতিনিধি, শেরপুর: শেরপুরের নালিতাবাড়ী তারানি গ্রামে বন্য হাতির দল রাতে হামলা চালিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে ব্রজবালা চাম্বু গং এর একমাত্র বসত ঘরটি। খেয়ে সাবাড় করেছে গোলায় রাখা ধান-চাল। ভেঙে চুরমার করে দেয় ঘরের সকল জিনিস পত্র। একই সময় হাতির হামলায় রক্ষা পাযনি নাজমুলের বসত ঘর। লোকালয়ে প্রবেশ কওে হাতির দল অব্যাহত রেখেছে তান্ডব।
৩ আগস্ট শনিবার ভোর রাতে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা তারানি ও কালা কুমা গ্রামে ২৫/৩০টি বন্যহাতি দল বেঁধে তান্ডব চালায়। তারানি গ্রামের বৃদ্ধা ব্রজ বালা চাম্বু গং(৮৫) একা ঘরে বাস করেন তিনি। হাতির ভয়ে তিনি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান অন্য বাড়িতে। এ সময় বন্য হাতির দল তার বাড়িতে প্রবেশ করে। মাটির ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে হাতি প্রবেশ করে ওই বসত ঘরে। গোলায় রাখা ধান-চাল খেয়ে সাবাড় করে। ভেঙে ফেলে রান্না ঘর। পায়ে পিষ্ট কওে ঘরের যাবতীয় জিনিস পত্র। একই সময়ে কালা কুমা গ্রামের নাজমুল হকের বসত ঘর ভেঙে শেষ করে দিয়েছে সব।
এদিকে সারারাত হাতির তান্ডব থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসী হাতি তাড়াতে চেষ্টা করে। শনিবার সকাল থেকেই হাতি অবস্থান করছে কালাকুমা বড় বাগানে। গ্রামবাসী, বনবিভাগ সহ সকল মানুষ হাতি তাড়াতে চেষ্টা করে। কোনো ক্রমেই হাতি যাচ্ছে না। এ সীমান্ত এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই বন্যা হাতির আক্রমণে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ, ঘরবাড়ি ও ফসল বিনষ্ট করছে সাধারণ মানুষের। এ হাতের আক্রমণ থেকে বাঁচতে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।
তবে বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার রফিকুল ইসলাম, সীমান্তে বাসীদের মাঝে সরকারিভাবে হাতি তারাতে মশাল জ্বালানোর জন্য তেল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে।