স্পোর্টস প্রতিবেদক: বিদায়বেলায় কিছুটা আক্ষেপ করতেই পারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এই ফর্ম কেন আর কয়েকটি ম্যাচ আগে ধরা দিলো না! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৮ রানে হারিয়ে বিদায় নিলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। অন্যদিকে এই হারে শেষ চারে উঠতে খুলনা টাইটানস ও ঢাকা ডায়নামাইটস ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে রংপুরকে।
মিরপুর শের-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটে নামে কুমিল্লা। ইমরুল কায়েসের ৩৫ বলে ৫২ ও খালিদ লতিফের ৩৬ বলে ৪৩ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৭০ রান করে মাশরাফির দল। জবাবে মোহাম্মদ শাহজাদের ৩১ বলে ৪৫ ও শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের ২২ বলে অপরাজিত ৩৮ রানেও হার এড়াতে পারেনি রংপুর। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে উত্তরবঙ্গের দলটি ৮ উইকেটে ১৬২ রানে থামে।
কুমিল্লার জয়ে সুবিধা হয়েছে রাজশাহী কিংসের। দলটি নিশ্চিত করেছে শেষ চারে ওঠা। চিটাগং ভাইকিংস, খুলনা টাইটানস ও রংপুরের সমান ১২ পয়েন্ট রাজশাহীর। তবে রান রেটে এগিয়ে চিটাগং ও রাজশাহী।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ শাহজাদের ব্যাটে ঝোড়ো শুরু পায় রংপুর। ৫.৪ বলে ৪৮ রান করে দলটি। এর মধ্যে শাহজাদের অবদান ২৩ বলে ৪১ রান। এরপর দলীয় স্কোরের সঙ্গে ১১ রান যোগ হতেই তিন উইকেট হারায় নাঈম ইসলামের দল। কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এ ধাক্কাটা আর সামলে উঠতে পারেনি উত্তরবঙ্গের দলটি। শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের ব্যাট কিছুটা আনন্দ দেয় হোম অব ক্রিকেটের দর্শকদের। তবে ৮ রানের হার এড়াতে পারেনি দলটি।
কুমিল্লার হয়ে রশিদ খান তিন উইকেট নেন। এছাড়া নাবিল সামান ও মাশরাফি মুর্তজা দুটি করে উইকেট নেন। এর আগে ইমরুল
কায়েস ও খালিদ লতিফের ব্যাটে ঝোড়ো শুরু পায় কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে ১০.২
ওভারে ৮৮ রান করে তারা। এর মধ্যে চলতি বিপিএলে প্রথম অর্ধশতক করেন কায়েস। এর কিছুক্ষণ পরই এ দুই ব্যাটসম্যান ফিরে যান সাজঘরে। মাঝে মারলন স্যামুয়েলস ৩০ রান ও শেষের দিকে অন্য ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় ১৭০ রান করে কমিল্লা।
রংপুরের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি ও রুবেল হোসেন।
Add Comment