ক্রীড়া প্রতিবেদক: ওয়ানডে ও টেস্টের তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে এখনও বেশ পেছনেই বাংলাদেশ, যা গত পরশু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দেখা গেল। আগে ব্যাট করে সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও বড় স্কোর গড়তে পারেনি টিম টাইগার্স। বোলিংয়েও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি সফরকারীরা। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিস হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে টি-টোয়েন্টি থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসরের ধাক্কা। সব মিলিয়ে ছয় উইকেটে হারে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তবে সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। আজ সন্ধ্যায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি জয়ে রাঙাতে চায় লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। এটা হলেই সিরিজ সমতায় শেষ করার পাশাপাশি অধিনায়কের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটের বিদায়টাও হয়ে থাকবে স্মরণীয়।
গত পরশু চার পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। এদিন টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের। যদিও এ ডানহাতি দলের জন্য তেমন কিছুই করতে পারেনি। তাই তো আজ তার জায়গায় একজন স্পিনারকে একাদশে জায়গা দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। এ সুযোগে হয়তো ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অভিষেক হয়ে যেতে পারে মেহেদি হাসান মিরাজের। এদিকে তাসকিন আহমেদও থাকতে পারেন দলের বাইরে।
শ্রীলঙ্কার উইকেট সব সময় ব্যাটসম্যানদের হয়ে কথা বলে আসছে। তাই তো সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিততে হলে টাইগার ব্যাটসম্যানদের জ্বলে উঠতে হবে। এজন্য দায়িত্বটা অবশ্যই নিতে হবে দলের টপ অর্ডারদের। আগে ব্যাট করলে বড় স্কোর গড়ার কোনো বিকল্প নেই সফরকারীদের। আর পরে ব্যাট করলেও বড় স্কোর চেজ করতে হবে মাশরাফিদের, এটা বলায় যায়।
ঘরের মাঠে সব সময় শক্তিশালী দল শ্রীলঙ্কা। তারপর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড ভালো নয়, যা কিছুটা হলেও প্রথম ম্যাচে স্বস্তি দিয়েছিল মাশরাফিদের। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে সেটায় যেন পরে অস্বস্তিতে ভাসিয়েছে সফরকারীদের। তারপরও সবকিছু পেছনে ফেলে টাইগারদের আজ একটায় লক্ষ্য, সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিতে দেশে ফেরা।