শেষবেলায় সক্রিয়তায় রক্ষা হলো বড় পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সোমবার মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান সূচক সামান্য হ্রাস পেলেও অপর দুই সূচক কিছুটা বেড়েছে। সেই সামান্য পরিমাণে বেড়েছে টাকার অঙ্কে লেনদেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের দিনে গুজবে বড় পতনের পর বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস পাওয়া গেছে গতকাল।

আগের দিনের মতোই সোমবার লেনদেন শুরু হয় পতনের মধ্য দিয়ে। আধা ঘণ্টা যেতে না যেতেই ডিএসইর সূচক থেকে হাওয়া হয়ে যায় ৪৬ পয়েন্ট। আগের দিন ৬৭ পয়েন্ট পতনের পর এই চিত্রে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক জেঁকে বসে। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে আগের দিনের তুলনায় সূচক ১৪ পয়েন্ট বাড়ে।  কিন্তু সোয়া ১২টা থেকে আবার শুরু হয় পতন। বেলা পৌনে ২টার সময়ও সূচক ২৯ পয়েন্ট কমে লেনদেন হতে থাকে। এ সময় বেশিরভাগ শেয়ারেরই ক্রেতা ছিল না। লেনদেন ছিল ৪০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।

আগের দিন ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিন্ম লেনদেন হয়েছিল। তখন মনে হচ্ছিল, এর চেয়ে নিচে নামবে লেনদেন। তবে শেষ পৌনে এক ঘণ্টায় কিছুটা ক্রয়চাপ দেখা যায়। সূচকের সঙ্গে বাড়তে থাকে লেনদেন। দিন শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগেও সূচক আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল ৮ পয়েন্ট। তবে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে সেটি শেষ পর্যন্ত ৬ পয়েন্ট কমে ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ছয় হাজার ৬৯১ পয়েন্টে।

এদিকে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস দশমিক ২১ ও ডিএস৩০ সূচক দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়েছে। সূচক পতনে রবি, আইসিবি, গ্রামীণফোন, পাওয়ারগ্রিড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

আগের দিনের মতো সূচকের বড় পতন না হলেও লেনদেন এখনও তলানিতেই রয়েছে। তবে আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে কিছুটা। বেলা শেষে দেখা যায় ৬৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৬১৬ কোটি ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বস্ত্র ১৭.৪ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন ১৪.৩ শতাংশ, বিবিধ ১১.৯ শতাংশ, আইটি ৯.৭ শতাংশ, ব্যাংক ৮.৯ শতাংশ ও প্রকৌশল খাতে ৮ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। বাকি খাতের লেনদেন ছয় শতাংশের নিচে ছিল।

আগের দিন প্রায় ২০০ কোম্পানির শেয়ারদর দিনের নি¤œসীমা ছুঁয়ে হাতবদল হয়েছিল। এদিনও শতাধিক কোম্পানির ক্ষেত্রে এই চিত্র দেখা গেছে। সব মিলিয়ে কমেছে ২৪২টি কোম্পানির দর, যা আগের দিন ছিল ৩৩৯টি। তবে আগের দিন বেড়েছিল কেবল ২৩টি কোম্পানির দর, সেটি বেড়ে হয়েছে ১০০টি।

সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিটির শেয়ারদরে যোগ হয়েছে ৮ শতাংশের বেশি, ৫ শতাংশ ও ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে দুটি করে কোম্পানি, ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৫টি কোম্পানির, ৭টি কোম্পানির দর বেড়েছে ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে।

দরপতনের এই দিনে সেবা ও আবাসন খাতের সব কটি কোম্পানির দর বেড়েছে। ছোট খাতগুলোর মধ্যে চামড়া খাতও ভালো করেছে। প্রধান খাতগুলোর মধ্যে কেবল ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং জ্বালানিতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। বস্ত্র খাতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানির দর বেড়েছে।

অন্যদিকে সাধারণ ও জীবন বিমা, প্রকৌশল, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে দর হারিয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানি ও ইউনিট। দারুণ লভ্যাংশ আসতে থাকা ব্যাংক খাতে বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারালেও দরপতনের হার খুবই কম ছিল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০