ক্রীড়া ডেস্ক: আগের রাতেই পিএসজির কাছে ০-৪ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। তাইতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ের প্রথম লেগ নিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাবুর ক্লাবটির কোচ জিনেদিন জিদানের কপালে ছিল চিন্তার ভাঁজ। যদিও গত পরশু ম্যাচের শুরুতে নাপোলিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। কিন্তু রিয়াল সব শঙ্কা দূর করে নাপোলিকে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে।
এ জয়ে টানা সপ্তমবারের মতো ইউরোপসেরা হওয়ার এ প্রতিযোগিতায় শেষ আট নিশ্চিত করার দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-বেনজেমারা। একইসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্নটাও দেখতে শুরু করেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
সান্তিয়াগো বার্নাবুতে ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও দ্রুত সময়ে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান করিম বেনজেমা। দানি কারভাহালের ক্রস থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫১তম গোলটি করেন এই ফ্রান্স স্ট্রাইকার। দু-দলই প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেললেও ডি-বক্সে এসে খেই হারিয়ে ফেলায় আর গোল পায়নি কোনো দলই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে স্বরূপে ফিরে আসে রিয়াল। পরের দুই গোল করতে খুব একটা সময় নেয়নি জিদান শিষ্যরা। ৪৯তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাসে বক্সের বাইরে থেকে মাপা শটে গোল করেন টনি ক্রুস। তাতে স্কোরলাইনটা ২-১। ৫৪ মিনিটে ২৫ মিটার দূর থেকে আচমকা শটে কাসেমিরোর গোলে জয়টাও মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলে রিয়াল।
নাপোলির সাবেক খেলোয়াড় ডিয়েগো ম্যারাডোনা এ ম্যাচের আগে স্মৃতিময় ক্লাবের ড্রেসিংরুমে গিয়ে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করেন। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরই হার মানে নাপোলি।
ম্যাচ শেষে অবশ্য দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিয়াল কোচ জিদান, ‘আজকের ম্যাচে বেনজেমা, রোনালদো, রদ্রিগেজের পারফরম্যান্স পুরো দলের পারফরম্যান্স ভালো করতে সহায়ক হয়েছে।’