নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও সূচকের পতনের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়। দিন শেষে পাঁচ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে সূচকের অবস্থান হয়েছে সাত হাজার ২৪৩ পয়েন্ট। একইভাবে কমে গেছে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। গতকাল লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর হ্রাস পেতে দেখা যায় ২১৯টির। পক্ষান্তরে ১১৪টির দর বৃদ্ধি পায় এবং ৪৩টির দর অপরিবর্তিত থাকে।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এদিন সব খাত থেকে মুনাফা তোলার চেষ্টা করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল বিমা খাত। কয়েক দিন টানা দর বৃদ্ধির কারণে গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে বিক্রেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীরা। ফলে তৈরি হয় বিক্রয় চাপ। এর জের ধরে এসব শেয়ারদর হ্রাস পেতে থাকে। পরবর্তীকালে কিছুটা কম লাভেও শেয়ার ছেড়ে দেন অনেকে। এ কারণে দিন শেষে হ্রাস পায় এ খাতের ৯৪ শতাংশের বেশি কোম্পানির শেয়ারদর। একইভাবে অন্যান্য খাতের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাস পায়।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট এক হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৫০ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে গতকাল মোট ৩৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। কোম্পানিগুলোর ৬০ লাখ ৩২ হাজার ৩৪৯টি শেয়ার ৮১ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৫০ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২২ কোটি ৩০ লাখ সাত হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন শুজের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ৪৯ লাখ ১৬ হাজার টাকার বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বিবিএস কেব্লসের।