মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় দেখা গেছে। তবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় সূচক হ্রাসের পরিমাণ ছিল কম। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমতে দেখা গেছে ১১ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ২৭০ পয়েন্টে। আগের কার্যদিবসে সূচক হ্রাসের পরিমাণ ছিল ৯৪ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল সকাল থেকেই সূচক ছিল নিম্নমুখী। দিনের শেষদিকে সূচকের কিছুটা তেজিভাব দেখা গেলেও পতন রোধ করা যায়নি। এদিকে গতকাল লেনদেন আধিপত্য দেখা গেছে তিন খাতের। খাত তিনটি হচ্ছে বিবিধ, ওষুধ ও রসায়ন এবং ব্যাংক। দিন শেষে মোট লেনদেনে বিবিধ খাতের একক অবদান দেখা যায় ১৮ শতাংশের বেশি। পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনে এ খাতটি ১৪ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের একক অংশগ্রহণ দেখা যায় ১৩ শতাংশ। এছাড়া লেনদেনে অন্য কোন খাতই ১০ শতাংশ অবদান রাখে সক্ষম হইনি।
অন্যদিকে সপ্তাহের শেষ দিনে সূচকের পাশাপাশি কমে গেছে লেনদেনও গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৪৫১ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়।
এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১৩ কোটি টাকা। গতকাল এ মার্কেটে ২৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮২টি শেয়ার ৪৪ বার হাত বদল হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ চার কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার টাকার ম্যারিকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি ৭০ লাখ ২৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের।
এছাড়া বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকোর এক কোটি পাঁচ লাখ টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, লাফার্জের ৩৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৩৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার, রেনাটার ৪১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার ডিবিএইচের ৩৩ লাখ ৩৪ হাজার
টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ১৭ লাখ ১৯ হাজার টাকার, বার্জারের ছয় লাখ ৯২ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর সাত লাখ ৮২ হাজার টাকার জেনেক্সের সাত লাখ ৪০ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের আট লাখ ছয় হাজার টাকার, কাট্টলী টেক্সটাইলের পাঁচ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়।
