নিজস্ব প্রতিবেদক: শেষ ম্যাচটিও জয়ে রাঙাতে পারল না বাংলাদেশ। শেষ বলেই হাতছাড়া হয়ে গেল আশা জাগানো জয়টি। জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। বিকল্প বোলার না থাকায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই বল হাতে তুলে নেন। প্রথম বল ডট দেয়ার পর দ্বিতীয় বলে ফেরান সরফরাজ আহমেদকে। পরে হায়দার আলী ও ইফতেখার আহমেদকে ফিরিয়ে মরা ম্যাচে প্রাণ ফেরান মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ বলে ৪ খেয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ দল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর গতকাল তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও হারল লাল-সবুজের দল। মিরপুরে এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১২৪ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল। ছোট লক্ষ্য টপকাতে বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে। ৫ উইকেট হাতে রেখে টানা তিন জয়ে ধবলধোলাই করল তারা।
এদিন আগে ব্যাট করে নাঈম শেখের ৪৭ রানের ওপর ভর করে স্কোরবোর্ডে ১২৪ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল। ১২৫ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ওপেনার বাবর আজম এ ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি। পাকিস্তানি অধিনায়ককে ১৯ রানে আউট করেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম। বাবর আউট হলে ভাঙে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এরপর ৩ নম্বরে নামা হায়দার আলীকে নিয়ে দলকে সহজ জয়ের পথে রাখেন রিজওয়ান। ৪৮ বলে গড়েন জুটির ফিফটি। রিজওয়ান নিজেও হাঁটছিলেন অর্ধশতকের দিকে, তবে অভিষেক হওয়া পেসার শহিদুল ইসলাম দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রিজওয়ানকে বোল্ড করেন। এই ওপেনার ফেরেন ৪৩ বলে ৪০ রান করে। পরে এ সিরিজের প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া সরফরাজ আহমেদকে নিয়ে লড়াই চালান হায়দার আলী।
শেষের দিকে পাকিস্তান শিবিরে চাপ তৈরি করেছিলেন স্বাগতিক বোলাররা। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান। ১৯তম ওভারে শহিদুল ৭ রান দিলে শেষ ওভারে ৮ রান দরকার হয়। তবে হাতে বিকল্প বোলার না থাকায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই বল হাতে তুলে নেন। প্রথম বল ডট দেয়ার পর দ্বিতীয় বলে ফেরান সারফরাজ আহমেদকে। ম্যাচ তখন বাংলাদেশের দিকে।
ওভারের তৃতীয় বলে হায়দার আলীকে আউট করে গোটা স্টেডিয়ামে গর্জনের ঢেউ তোলেন টাইগার দলপতি। তবে চতুর্থ বলে উইকেটে এসে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে সেই গর্জন স্তব্ধ করে দেন ইফতেখার আহমেদ। কিছু চমক যেন জমিয়ে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পঞ্চম বলে ফেরান সেই ইফতেখারকে। নাটক তখনও বাকি, শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২ রান। তবে শেষ রক্ষা হলো না, শেষ বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নেওয়াজ।
ইনিংসের শেষ বলে পাওয়া জয়ে ৫ উইকেট হাতে থাকে সফরকারীদের। এ ম্যাচ হারের মধ্য দিয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ৩ ম্যাচ হার বাংলাদেশ দলের। টাইগারদের হয়ে ১ ওভার বল করে মাহমুদউল্লাহ ১০ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।