শেষ মুহুর্তে বেচা-বিক্রিতে জমজমাট লক্ষ্মী প্রতিমার হাট

প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: মূলত দেবীপক্ষের শেষের পূর্ণিমাতে আজ কোজাগরী লক্ষ্মী দেবী পূজিত হবেন। নিয়ম অনুযায়ী এবছর দুর্গাপূজার পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে লক্ষ্মী দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী পূজা।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করবেন সনাতন ধর্মবলম্বীরা। তাই প্রতিমা বিক্রি করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট। গতকাল থেকে বেচা বিক্রি ও জমজমাট। এসব হাট থেকে প্রতিমাসহ পূজার আনুষঙ্গিক উপকরণ কিনে নিচ্ছেন সনাতন ধর্মবলম্বীরা।

তবে এবছর দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে খুব কম সংখ্যক লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে হাটে বসেছেন বিক্রেতারা। তাছাড়া প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিমা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান মাধবপুর ও হরষপুর থেকে আসা প্রতিমা বিক্রেতারা। ক্রেতারা জানান, দরদাম করে প্রতিমা কিনছেন। স্বাভাবিক দামের মধ্যেই কিনতে পারছেন। বিক্রেতারা দাম বেশী হাঁকালেও কমদামে কিনে নিতে পারছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ও আজ বুধবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের পুরান বাজারের লক্ষ্মী প্রতিমার হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট প্রতিমা বিক্রির হাট। এসব হাটে ঘুরে ঘুরে দেখে শুনে দর দাম করে পছন্দ আর সাধ্যমত কিনছেন লক্ষ্মী প্রতিমা। এসব হাটে শুধু প্রতিমাই নয় পাওয়া যাচ্ছে পূজার অন্যান্য উপকরণও।

প্রতিমা কিনতে আসা শহরের কলেজ রোডের বাসিন্দা রোহিত শর্মা বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমি লক্ষ্মী প্রতিমা কিনতে এসেছি। প্রতিটি মূর্তি খুবই সুন্দর। আসলে মূর্তি কেনার ক্ষেত্রে আমি সবসময় প্রাধান্য দিয়ে থাকি মায়ের মুখটি যেনো খুব মায়াবী হয়, দাম যেমনটাই হোক। যদি দামের ক্ষেত্রে বলি তাহলে প্রতি বছরের তুলনায় এবারও ব্যতিক্রম নয়। দাম মোটামুটি সাধ্যমত আছে। আমি যে প্রতিমা নিয়েছি, মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই নিতে পেরেছি।’

শ্রীমঙ্গল শহরের বাসিন্দা সুস্মিতা রায় বলেন, ‘এ বছর বাড়ীতে লক্ষ্মী পূজা করব। তাই লক্ষ্মী প্রতিমা কিনতে এসেছি। পছন্দমত প্রতিমাও কিনেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্মী প্রতিমার দাম অনেক বেশি। তারপরে মায়ের কৃপা পেতে পূজা করব।’

মাধবপুর থেকে আসা প্রতিমা বিক্রেতা রাজিব পাল বলেন, ‘এবছর ৪০০ পিস লক্ষ্মী প্রতিমার মুর্তি বিক্রির জন্য এনেছি। গত সোমবার এসেছিলাম। সেদিন ৮ থেকে ১০ পিস বিক্রি করেছিলাম। গতকাল ও আজ বুধবার ভালো বিক্রি হচ্ছে। ছোট লক্ষ্মী প্রতিমা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৮০০ টাকা ও বড় সাইজের প্রতিমা ১ হাজার ২০০ টাকা দাম চাচ্ছি। কিন্তু দরদাম করে ছোট সাইজের প্রতিমা ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং বড় সাইজের ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। গতবছর ৮০০ পিস লক্ষ্মী প্রতিমার মুর্তি এনেছিলেন, সবগুলোই বিক্রি হয়েছে। দেশের পরিস্থিতির কারণে এবছর কম এনেছেন।’

হরষপুর থেকে আসা লক্ষ্মী মূর্তি বিক্রেতা নিটন চন্দ্র পাল বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর বিক্রির জন্য এখানে মূর্তি নিয়ে আসি। এবার যে আমরা মূর্তি নিয়ে এসেছি, কিন্তু দাম কম পাচ্ছি। মূর্তির মূল্য কম। একটা মূর্তি তৈরি করতে যা খরচ হয়, সেটা তুলতেই কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে আশাকরি শেষ সময়ে বেচা-বিক্রি ভালো হবে।’

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০