রুবাইয়াত রিক্তা: টানা চার কার্যদিবস পতনের পর গতকালও নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। তবে শেষ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার চাপে সূচক বাড়তে থাকে। গত কয়েক দিনের দরপতনের সুযোগ নেন তারা। শেষ পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১১ পয়েন্ট ইতিবাচক হয়। এদিন সাড়ে ৪৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ৩৫ শতাংশের। শেয়ার কেনার প্রবণতায় শেষ সময়ে সূচক ইতিবাচক হওয়ার পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে ১০৩ কোটি টাকা। বাজার ঘুরে দাঁড়ানোয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
গতকালও বাজারের একক নেতৃত্বে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। লেনদেন ও শেয়ার সংখ্যায় শীর্ষে থাকার পাশাপাশি শেয়ারটির দর বেড়েছে সাত দশমিক ২৪ শতাংশ। কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই চলতি মাসে কোম্পানিটির দর ও লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ব্যাংক, ওষুধ, রসায়ন ও প্রকৌশল খাতে। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ বা ৬৬ কোটি টাকা। এ খাতে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা এবং ৪৩ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। ওষুধ, রসায়ন ও প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ করে। ওষুধ খাতে ৫৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে, লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এ খাতের কোহিনুর কেমিক্যালের দর পাঁচ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। প্রকৌশল খাতে লেনদেন বেড়েছে ২০ কোটি টাকা। শেয়ারদর বেড়েছে ৬১ শতাংশের। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে ইস্টার্ন কেব্লস ও ন্যাশনাল টিউবস। খাদ্য খাতে গতকাল লেনদেন বেড়েছে এক শতাংশ বা সাড়ে ৯ কোটি টাকার বেশি। এ খাতের ন্যাশনাল টি’র দর সাড়ে সাত শতাংশ বেড়েছে। আগের দিন সিমেন্ট খাতে সাত শতাংশ লেনদেন হলেও গতকাল তা তিন শতাংশে নেমে আসে। বেক্সিমকো ছাড়াও গতকাল ব্র্যাক ব্যাংকের প্রায় ১৫ কোটি টাকার, অ্যাডভেন্ট ফার্মার প্রায় ১৪ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১৩ কোটি, লাফার্জ সুরমার ১২ কোটি, ন্যাশনাল টি’র সাড়ে ১১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এক পর্যায়ে ন্যাশনাল টি, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের বিক্রেতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির কারণে হাক্কানি পাল্প, এপেক্স ফুড, প্রাইম ইসলামী লাইফ ও সোনালী আঁশ কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই।