ক্রীড়া ডেস্ক : আগের দেখায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। গত পরশু ফিরতি লেগের ম্যাচটি দলটির জন্য ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। এমন এক ম্যাচে বিরতির আগেই গোল করে প্রিমিয়ার লিগের দলটির স্বস্তি এনে দেন ভাইনালডাম। এদিকে দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে শুরুতে রবার্তো ফিরমিনো গোল করলে হর্ষধ্বনি উঠেছিল অ্যানফিল্ডে। কোয়ার্টার ফাইনাল তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে লিভারপুলের। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই দ্রুত সময়ের মধ্যে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। মার্কোস ইয়োরন্তে ও আলভারো মোরাতা করেন গোল। আর তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় অল রেডদের। এদিকে নেইমার নৈপুণ্যে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরার এ টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে গত পরশু লিভারপুলকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। তাই দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে এগিয়ে থেকে এ টুর্নামেন্টের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
অ্যাথলেটিকো গত পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে উঠেছে মূলত গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাকের জন্য। কেননা দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের একের পর এক আক্রমণ নস্যাৎ করে দেন তিনি। সেভ করেছেন মোট ৯টি। অসংখ্য ক্রস ঠেকানো তো আছেই।
এদিকে লিভারপুলের শেষ আটে ওঠার চেষ্টা ফল পায়নি তাদের গোলরক্ষক আদ্রিয়ানের ভুলে। গত পরশু তার বাজে ‘ক্লিয়ারেন্স’ থেকে বল পেয়ে যান হোয়াও ফেলিক্স। ‘ক্লিয়ার’ করতে গিয়ে ভুল পাস দিয়েছিলেন আদ্রিয়ান। সে সময়ই ইয়োরন্তেকে পাস বাড়ান ফেলিক্স। তাই গোল করতে স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের কোনো সমস্যাই হয়নি। এ গোলের আগে কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে ওঠার পথেই ছিল লিভারপুল।
মোরাতার শেষ গোলেও পোস্টের ডান প্রান্তে বেশি ফাঁকা জায়গা খেয়াল করেননি আদ্রিয়ান। তারপরও ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ ইয়ের্গুন ক্লপ গোলরক্ষককে এতটুকু দুষছেন না, ‘এক সেকেন্ডের জন্যও তাকে দোষ দেব না। সে এটা করতে চায়নি। অনেক ম্যাচেই সে আমাদের বাঁচিয়েছে।’
এদিকে ঘরের মাঠে গত পরশু ২৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। ডান দিক থেকে ডি মারিয়ার কর্নারে ডাইভিং হেডে জাল খুঁজে নেন নেইমার। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হুয়ান বের্নাত ব্যবধান বাড়ালে ফরাসি ক্লাবটির কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়ে যায়।
