শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, খুলনা: মঙ্গলবার খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ভোট অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল রোববার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনি প্রচার। নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের মাঝেও বিরাজ করছে নির্বাচনি উৎসবের আমেজ। তাদের প্রত্যাশা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যোগ্য নগরপিতা নির্বাচিত হবেন। প্রশাসনও নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
খুলনা সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী হলেনÑআওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির শফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) ও সিপিবি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে রোববার দিবাগত রাত ১২টায়। একইসঙ্গে বহিরাগতদের শনিবার রাত ১২টার মধ্যে সিটি এলাকা ত্যাগ করেছেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার বিকেলে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নামবে।
এছাড়া মহানগরীর ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদন্দিতা করছেন। খুলনা সিটিতে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন চার হাজার ৯৭২ জন। এ নির্বাচনে ২৮৯টি ভোট কেন্দ্র। এর মধ্যে দুটি ভোটকেন্দ্র ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এ দুটি কেন্দ্রের ১০টি বুথে ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন দুই হাজার ৯৭৮ ভোটার।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, এরই মধ্যে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বলেন, নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টি কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটের দিন পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি, এপিপিএনের প্রায় ১০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজিবি টহল শুরু করেছে। রোববার দুপুর থেকে টহল শুরু করে বিজিবি। ১৬ প্লাটুনে মোট ৬৪০ জন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি খুলনা সদর দফতরের টুআইসি মেজর হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যের নির্বাচনি পর্যবেক্ষক টিম রোববার দুপুর থেকে পর্যবেক্ষণ কাজ শুরু করেছে।
