নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ার কেনা সম্পন্ন করেছেন সিটি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রফিকুল ইসলাম খান পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বর্তমান বাজারদরে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে চার লাখ ১৫ হাজার শেয়ার কেনা সম্পন্ন করেছেন।
সিটি ব্যাংকের শেয়ারদর গতকাল এক দশমিক ১৪ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৫ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৬টি শেয়ার মোট ৯১৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৯৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৫৭ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৯ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৯০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৮ টাকা ৪০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৩৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ২৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। এ সময় ইপিএস হয়েছিল চার টাকা ৬৪ পয়সা এবং এনএভি ২৭ টাকা ৯৮ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ১০ পয়সা ও ২৮ টাকা সাত পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪০৬ কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৫৯ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৬৭ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৯৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
চলতি হিসাবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৪০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২৭ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত এনএভি ২৭ টাকা। এটি আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ২৮ টাকা ৪০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৩৬ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল এক টাকা ৫১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৪০ পয়সা। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল দুই টাকা ১৮ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭৬ পয়সা, যা আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর সময় ছিল ২৮ টাকা ৪০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১০২ কোটি ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ৯ দশমিক এক এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১১ দশমিক ৭৫। কোম্পানির ৯৬ কোটি ৭৯ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৭টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৩০ দশমিক ২৩ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ, বিদেশি ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
