নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্ধারিত সময়ে শেয়ার বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়েছেন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের (আইএফআইএল) উদ্যোক্তা মো. ফজলুল হক। তাই পুনঃঅনুমতি পেতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছেন তিনি। দুই লাখ শেয়ার বিক্রি করতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর সম্প্রতি আবারও আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর আইএফআইএলের দুই লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন ফজলুল হক। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ শেয়ার বিক্রির কথা থাকলেও তা করতে ব্যর্থ হন এ উদ্যোক্তা। এরপর ২৪ মে শেয়ার বিক্রিতে পুনঃঅনুমতি পেতে বিএসইসিতে আবেদন করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি নির্ধারিত সময়ে শেয়ার বিক্রি করতে না পারার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বিএসইসি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিক্রি সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ইসলামিক ফাইন্যান্সের এই উদ্যোক্তা তা সম্পন্ন করতে পারেননি। যা সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘণ। আইন অনুযায়ী, এ উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে আবার কমিশন তাকে ক্ষমাও করে দিতে পারে।
ফজলুল হক স্বাক্ষরিত বিএসইসি চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে দুই লাখ শেয়ার বিক্রির বিধান থাকলেও কার্যত বাস্তবে আমি চার কার্যদিবস পাই। আমার মায়ের অসুস্থতার জন্য যথাসময়ে শেয়ার বিক্রি করতে পারিনি। ওই অনিচ্ছাকৃত অপরাধ মার্জনার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমার মায়ের শারীরিক গুরুতর অসুস্থতায় চিকিৎসা করানোর জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে হবে। এমতাবস্থায় আমার কাছে এত টাকা না থাকায় উল্লিখিত শেয়ার বিক্রি করে মায়ের সুচিকিৎসা করাতে চাই। মায়ের চিকিৎসা নির্বাহের জন্য উক্ত শেয়ার বিক্রির অনুমতি চান তিনি।
জানা গেছে, আইএফআইএলের উদ্যোক্তা মো. ফজলুল হক ডাইকা (ক্যামিল্যান্ড) লিমিটেডেরও একজন উদ্যোক্তা। তার কাছে ইসলামিক ফাইন্যান্সের মোট দুই লাখ ৮১ হাজার শেয়ার রয়েছে। ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৬ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৩৭ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
Add Comment