Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 3:19 pm

শেয়ার বেচবেন ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানির উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহর কাছে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪২টি শেয়ার রয়েছে। তার মধ্যে থেকে তিনি ৬৮ হাজার ৬৪২টি শেয়ার বিক্রি করবেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বর্তমান বাজারদরে উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবেন।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৭৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৩০ টাকা ৩৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় হয়েছে ৪৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ২২ লাখ ১০ হাজার ৮৩৫টি শেয়ার মোট ৯৯৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ৭১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। শেয়ারদর এক দশমিক ৪৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।

‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯৬ পয়সা এবং  এনএভি ছিল ২৯ টাকা ৩৭ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৪৬ পয়সা এবং ২৮ টাকা ৯৩ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৩১৫ কোটি তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩৯৬ কোটি ৭৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬১০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ তিন হাজার ২৭৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৬২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫০ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১২ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৩০ টাকা ৯৭ পয়সা, যা আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৩০ টাকা ৩৪ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৯৯ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৪৭ পয়সা। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা ১৫ পয়সা। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৩১ টাকা ১৫ পয়সা, যা আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৩০ টাকা ৩৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় করেছে ১৯০ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

সর্বশেষ বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১২ দশমিক ৫৫ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে নয় দশমিক ৬৯।