প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় কদিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে। দিনের বেলায় সূর্যের আলো প্রায় অদেখা থাকে। ঘন কুয়াশা ও শীতে এলাকায় ঠাণ্ডাজনিত রোগব্যাধি বাড়ছে। জেলার শ্যামনগর উপজেলায় তীব্র শীতে ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে গত তিন দিনে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী এলাকা কৈখালী ইউনিয়নে গত শুক্রবার থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতরা হলেন: উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আহম্মদের স্ত্রী জরিনা খাতুন (৭০), ৪নং ওয়ার্ডের মৃত এছেম গাজীর ছেলে খয়রাত গাজী (৭৫), আবদুল গাজী (৭০), ৩নং ওয়ার্ডের ওমর গাজীর ছেলে লুৎফর গাজী (৭০), ২নং ওয়ার্ডের মৃত বখশ গাজীর ছেলে রউফ গাজী (৯০), হামিদ গাজী (৭৬), ৬নং ওয়ার্ডের বিনয় কুমার মণ্ডলের স্ত্রী ভাদ্ররি বালা মণ্ডল (৪৫) ও জয়খালী গ্রামের এন্তাজ চৌকিদারের স্ত্রী মাজিদা খাতুন (৭৫)।
কৈখালী ইউপির চেয়ারম্যান শেখ আবদুর রহিম বলেন, ‘তীব্র শীত ও ঠাণ্ডাজনিত কারণে এ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। ইউনিয়নটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী। বাংলাদেশের কৈখালী ও ভারতের সীমান্ত নদী কালিন্দী দুই দেশের জলসীমা নির্ধারণ করেছে। এ নদীর বাঁধের ওপর দুই হাজার পরিবার বসবাস করে।’
তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে ২০০ কম্বল বিতরণ করেছি। সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছে ৪৬০টি কম্বল।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম কামরুজ্জামান বলেন, শীতের কারণে মারা গেছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে এসব মানুষ মারা যেতে পারে। তারা সবাই বয়স্ক ছিলেন।