শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের সঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত সাশ্রয়ী খরচে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে সমুদ্রপথে বাণিজ্যের লক্ষ্যে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, শিলিগুড়ি এবং গুয়াহাটি করিডোর এড়িয়ে মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে কার্গো পরিবহনের সময় এবং খরচ কমানোর সুযোগ অন্বেষণ করার জন্য কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। মূলত বাংলাদেশের মোংলা এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোয় কীভাবে পণ্য পরিবহন করা যায় সেই লক্ষ্যেই দুই সংস্থা কাজ করবে। এতে একদিকে যেমন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোয় পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা আছে, তেমনি বাংলাদেশে পণ্যবাহী কার্গোর যাতায়াত বাড়বে, ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হবে উভয় দেশ। সম্প্রতি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের কার্যালয়ে এই এমওইউ সই হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাইফ পাওয়ারটেক ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানির ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৮ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার।

চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর গত বছরের তুলনায় প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে। তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৩১ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৬৫ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৩ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৮ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ৭ পয়সা ছিল।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৭৯ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬৩ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০