শেয়ার বিজ ডেস্ক: অর্থসংকটে থাকা শ্রীলঙ্কাকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে ভারত। খাবার ও ওষুধ কিনতে এ অর্থ সহায়তা করা হয়েছে। খবর: হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের প্রধান খাত পর্যটন। কভিড মহামারির কারণে গত দুই বছরে এই খাত ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অর্থসংকট প্রকট হয়ে ওঠে। নগদ অর্থের চরম সংকট দেখা দেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেয়। এ ছাড়া বিদেশি বিভিন্ন দেশের ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না তারা। কাগজ আমদানির অর্থ না থাকায় দেশটিতে পরীক্ষাও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত।
জ্বালানি তেলের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শ্রীলঙ্কায় এবং চালসহ অন্যান্য খাদ্যশস্য, ওষুধ, মোটরযানের যন্ত্রাংশ, সিমেন্টসহ সব পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে দিন দিন। গত মাসে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফর করেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঋণ নিয়ে চুক্তি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শতকোটি ডলারের ঋণ পেল দেশটি।
এর আগে গত মাসে জ্বালানি তেল কেনার জন্য শ্রীলঙ্কাকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে ভারত। তেলের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়া ও ঘনঘন ব্ল্যাকআউট সমস্যায় জর্জর শ্রীলকঙ্কাকে এ ঋণ দেয় ভারত। উভয় দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে প্রায় দুই সপ্তাহ আলোচনা চলার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তখন কভিড মহামারির কারণে অর্থ সংকটে পড়া দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্য ও ওষুধ কিনতে আরও ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা জানান ভারতের এক কূটনীতিবিদ।
দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার শ্রীলঙ্কা এখন দেউলিয়াত্ব এড়াতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের আবেদনটি বিবেচনা করে দেখছে।