শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডিজেলের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ থেকে বন্ধ হতে পারে শ্রীলঙ্কার গণপরিবহন ব্যবস্থা। খবর: দ্য বিজনেস টাইমস।
অর্থ সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে কয়েক দিন আগে বন্ধ হয় আমদানি-রপ্তানি। এ কারণে সঞ্চয় করে রাখা জ্বালানি তেল দিয়ে এতদিন কোনোভাবে ধুঁকে ধুঁকে চলছিল গণপরিবহন ও বিদ্যুৎ পরিষেবা। গতকাল সেই সঞ্চিত তেলও একেবারে তলানিতে পৌঁছায়। ফলে সকাল থেকে দেশজুড়ে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে ডিজেল বিক্রি।
ডিজেলের অভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। জ্বালানির অভাবে আর চালানো যাচ্ছে না জেনারেটরও। ফলে গত বুধবার দেশজুড়ে মোট ১৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ পরিষেবা, যা এখন পর্যন্ত সর্বাধিক। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় এত দীর্ঘক্ষণ অন্ধকার আগে দেখা যায়নি। ইতোমধ্যেই রাজধানী কলম্বোসহ শ্রীলঙ্কার একাধিক শহরের অনেক হাসপাতালের পরিষেবা বন্ধ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সব সার্জারির দিনক্ষণ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আগামী দুদিনের মধ্যে জ্বালানির এই ভয়াবহ অভাব দূর করতে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য বিজনেস টাইমস জানায়, ডিজেলের বিক্রি বন্ধ হওয়ায় শ্রীলঙ্কার গণপরিবহন (বাস) পরিষেবাও বন্ধের পথে। কারণ ডিজেলই বাস ও অন্যান্য বাণিজ্যিক যানবাহনের প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহƒত হয় শ্রীলঙ্কায়।
কর্মকর্তারা জানান, দুদিন আগে বলা হয়েছিল যে পরিষেবা চালিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এমন যে, জ্বালানির সরবরাহ ঠিক না হলে সঞ্চয় করা ডিজেল দিয়ে শুক্রবার (আজ) পর্যন্ত পরিষেবা চলবে কোনোভাবে।
ডিজেলের বিক্রি বন্ধ হলেও পেট্রোল পরিষেবা এখনও চলছে। তবে পরিস্থিতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, শিগগির পেট্রোলের সরবরাহও বন্ধ হয়ে যাবে। বেসরকারি বাস পরিষেবার এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখনও ডিজেলের পুরোনো স্টক ব্যবহার করছি, কিন্তু যদি আমরা আজ সন্ধ্যার (বৃহস্পতিবার) মধ্যে সরবরাহ না পাই, আমরা পরিচালনা করতে পারব না।