শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। আগের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ইস্তফা দেয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। খবর: কলম্বো পেজ।
গতকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলেন রনিল। শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ের কারণে জনগণ তাকেও দায়ী করেছিল। কিন্তু সব বিরোধিতা পেছনে ফেলে প্রেসিডেন্টের কুরসিতে বসতে চলেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
২২৩ সংসদ সদস্য ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১৩৪ ভোট পেয়ে জিতেছেন রনিল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলাফেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট।
জয়ের পর দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, তীব্র সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ভবিষ্যতে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে দুবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রনিল। কিন্তু এই প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। তামিল গেরিলাদের হাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসা নিহত হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে প্রথমবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হন বিক্রমাসিংহে। সেবার মাত্র এক বছরের কিছু বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।
ছয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেও কোনোবারই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি বিক্রমাসিংহে। শেষবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দুই মাসের মাথায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
তবে রনিলের জয়ে খুশি নন শ্রীলঙ্কার অনেক মানুষ। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য লাগাতার আন্দোলন করেছেন লঙ্কাবাসী। প্রেসিডেন্ট পদে আলাফেরুমাকে চেয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। আর বিরোধী দলগুলো রাজাপক্ষের বিরোধিতা করে দুল্লাসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সংসদ সদস্যদের মধ্যে সেভাবে সমর্থন পাননি তিনি।
প্রসঙ্গত, আলাফেরুমা ভোটে দাঁড়ানোয় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিরোধী দলনেতা সাজিদ প্রেমদাসা।
রাজাপক্ষেদের প্রিয়পাত্র হিসেবে পরিচিত রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট পদে বসতে পারেন, আগেই এমন অনুমান করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
পার্লামেন্টে দেয়া বিজয়ী ভাষণে বিক্রমাসিংহে বলেন, আমাদের মধ্যে এখন আর কোনো বিভক্তি নেই।