শেয়ার বিজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন পাঁচ কোটি ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা) নিচে নেমে গেছে। শিগগির বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বাড়াতে না পারলে দেশটির সামনে চরম সংকট অপেক্ষা করছে। খবর: এপি।
গত বুধবার শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী আলি সাবরি দেশটির পার্লামেন্টে রিজার্ভ কমে আসার খবর দেন। এর আগের সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী। ২০২৬ সালের মধ্যে শ্রীলঙ্কাকে বিদেশি ঋণের আড়াই হাজার কোটি ডলার শোধ করতে হবে। এর মধ্যে চলতি বছর দিতে হবে অন্তত ৭০০ কোটি ডলার। অথচ এই মুহূর্তে দেশটির কাছে রয়েছে পাঁচ কোটি ডলার।
অর্থমন্ত্রী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি মেটাতে জরুরি অর্থায়নসহ আইএমএফের উদ্ধার কর্মসূচি নির্ভর করছে দাতাদের সঙ্গে ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনার ওপর এবং তা বাস্তবায়নে অন্তত ছয় মাস লাগবে। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের শেষে রিজার্ভ ছিল ৭৬০ কোটি ডলার। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ তা কমে দাঁড়ায় ৫৭০ কোটি ডলারে। ২০২১ সালের শেষে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩১০ কোটি ডলারে। চলতি বছর মার্চের শেষে তা ১৯০ কোটি ডলারে নেমে আসে। কভিড-১৯ মহামারিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে জানান সাবরি।
তার বক্তব্যের পর পার্লামেন্টের সদস্য ড. হর্ষ ডি সিলভা বলেন, অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাঁচ কোটি ডলারের কম হওয়ায় শ্রীলঙ্কা এখন দেউলিয়া সীমার নিচে নেমে গেছে। রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলারের বিপরীতে শ্রীলঙ্কার মুদ্রার (রুপি) মান আরও কমে যাবে বলে জানান বিরোধীদলীয় এ নেতা।
শ্রীলঙ্কায় চীন থেকে ১০০ কোটি ডলার সমতুল্য কারেন্সি সোয়াপ সুবিধা রয়েছে। দেশটিকে ৫০০ কোটি ডলারের ক্রেডিট লাইন অনুমোদন দিয়েছে ভারত। তবে চীন ঋণের কিস্তি পুনর্গঠনে সম্মতি দেয়নি। এছাড়া জাপানও অর্থসহায়তা করতে পারে দেশটিকে।