শেয়ার বিজ ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার প্রেক্ষিতে জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। খবর রয়টার্স।
পর্যটন শহর ক্যান্ডিতে মুসলিমবিরোধী ব্যাপক সহিংসতার প্রেক্ষিতে গত ৬ মার্চ দেশজুড়ে ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে জরুরি অবস্থার মধ্যেই উগ্রপন্থি বৌদ্ধদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে মুসলমানদের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বাদ যায়নি মসজিদও। সহিংসতায় দুই ব্যক্তি নিহতের পর জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ওই সহিংসতায় কমপক্ষে ২০টি মসজিদ ভাঙচুর করা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় মুসলামানদের শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও যানবাহনে।
শ্রীলঙ্কা সরকার জানিয়েছে, যে কারণ দেখিয়ে মুসলিমিবিরোধী দাঙ্গা ছড়িয়েছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বাইরে থেকে সংঘাত উসকে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী শরৎ আমুনউগামা। তিনি বলেন, ‘এর পেছনে একটি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র রয়েছে। সরকার নিরপেক্ষভাবে আইনের শাসন বাস্তবায়ন করবে।’
তবে দাঙ্গার পেছনে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলগুলো।
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কায় মুসলিমবিদ্বেষ বাড়ছিল। জীবন বাঁচাতে কিছু রোহিঙ্গা মুসলিম শ্রীলঙ্কায় আশ্রয় নিলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে দেশটির উগ্রপন্থিরা।
গত সেপ্টেম্বরে বৌদ্ধভিক্ষুদের নেতৃত্বে রাজধানী কলম্বোতে জাতিসংঘের একটি সেফ হাউসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ওপর হামলে পড়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। সাম্প্রতিক সহিংসতায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন নগরী ক্যান্ডি।