আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ১৯৪৮ সালের পর এই প্রথম চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এই অবস্থায় দেশজুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে পড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশজুড়ে চলা প্রবল গণবিক্ষোভের জেরে রোববার রাতে শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মন্ত্রীসভার বাকি ২৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এরপর কয়েক ডজন এমপি ক্ষমতাসীন জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে এক বিবৃতিতে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ।
বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জানান, গত শুক্রবার জারি হওয়া জরুরি অবস্থার নির্দেশ প্রত্যাহার করেছেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বর্তমান সরকার। সব মিলিয়ে ৪১ জন সাংসদ ওয়াক আউট করার ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার রাতে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। গত ১ এপ্রিল দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হলেও তা জারি হয় ৩ এপ্রিল।
সংকটে জর্জরিত দেশটির নতুন নিয়োগকৃত অর্থমন্ত্রীও মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন নিয়োগকৃত অর্থমন্ত্রী আলী সাবরি দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন।
শ্রীলঙ্কায় নজিরবিহীন তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা নির্বাহী রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দেশটির সংসদে দেওয়া বক্তৃতায় একটি নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, গত ২০ বছর ধরে দেশের প্রত্যেক নেতা নির্বাহী রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কেউই সেটি করেননি।
উল্লেখ, দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ বিপুল আকার ধারণ করেছে। এই ঋণের অর্ধেকেরও বেশি চীন থেকে নেওয়া।