শ্রীলঙ্কায় নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় নতুন মন্ত্রিসভার নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকশে। বিক্ষোভকারীদের পদত্যাগের দাবির মুখে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। মন্ত্রিসভার সদস্যদের গণপদত্যাগের পর সোমবার (১৮ এপ্রিল) নতুন মন্ত্রিসভার ১৭ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। আগের মন্ত্রিসভার একমাত্র সদস্য হিসেবে কেবল প্রেসিডেন্টের ভাই ও শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজপাকসে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান ধরে রেখেছেন।

অর্থাৎ ভাই মাহিন্দা রাজপাকসেকে রেখেই মন্ত্রিসভায় ১৭ জন নতুন সদস্যকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সোমবার (১৮ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ নেন বলে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই।

এর আগে, দেশটিতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের ফলে মন্ত্রিসভার ২৬ জন মন্ত্রী একযোগে পদত্যাগ করেন। তবে চলমান বিক্ষোভের মুখে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ দিলেন রাজাপাক্ষে। তার দলের বেশ কয়েকজন সদস্যকে বিভিন্ন পদে পুনর্নিয়োগ করেছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, নতুন সরকার গঠনের জন্য বিরোধীদের সহযোগিতাও চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকশে। কিন্তু বিরোধীপক্ষ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

১৯৪৮ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দ্বীপ রাষ্ট্রটি। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে খাদ্য, জ্বালানি আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। যার ফলে দেশটিতে সৃষ্টি হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ঘাটতি এবং সবকিছুর দাম আকাশ ছুঁয়েছে।

বিদ্যুৎ বিপর্যয়, খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সংকটে ক্ষোভে ফুঁসছে শ্রীলঙ্কার জনগণ।

অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার অভাবের কারণেই শ্রীলঙ্কায় এই সংকট দেখা দিয়েছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। কারণ নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা নগণ্য হওয়ায় এই দ্বীপরাষ্ট্রকে প্রয়োজনীয় অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

আর এজন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন। অথচ রাজকোষ ফাঁকা! ফলে পণ্যের সরবরাহ মারাত্মক ভাবে কমেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। আর তাই চলমান এই সংকটে খুব একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না অর্থনীতিবিদরাও।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০