শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারে শ্রীলঙ্কায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে প্রতিবেশী চীন। ভারতের উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম সমুদ্রবন্দর হাম্বনটোটা চীনের কাছে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয়। গত ডিসেম্বরে বন্দরটি চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ১১২ কোটি ডলারে হস্তান্তর করে দেশটি। এরপর শ্রীলক্ষায় ব্যাপক ভিত্তিতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখায় চীন।
দেশটির প্রধান সমুদ্রবন্দরের কাছে বাস্তবায়নাধীন একটি বৃহৎ প্রকল্প এলাকায় তিনটি বহুতল (৬০ তলা) ভবন তৈরির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা রাষ্ট্রীয় কোম্পানি। কলম্বোয় বন্দর এলাকায় পুনরুদ্ধার করা জমিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চীন এ বিনিয়োগ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল সিটি পুনরুদ্ধার ও নির্মাণ প্রকল্পে এক দশমিক চার বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অংশ হিসেবে এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বৃহৎ প্রকল্পটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কার একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দরের নিকটবর্তী এলাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কা আশা করছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকশের উদ্যোগে চালু হওয়া এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ভারত মহাসাগরে সিঙ্গাপুর ও ইউরোপের মতো এটি একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হবে। এর ফলে বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ আসবে ও বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চীনা কোম্পানি সিসিসিসি জানিয়েছে, এ প্রকল্প সম্পন্ন হলে শ্রীলঙ্কায় অন্তত ৮৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন খাতে আরও অন্তত ১৩ বিলিয়ন ডলারের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হবে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে চলতি মাসেই এ বিনিয়োগের বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হবে।
শ্রীলঙ্কার নগর উন্নয়নমন্ত্রী চাম্পিকা রানাওয়াকা জানিয়েছেন, চীনা কোম্পানি চায়না হারবার ভবন তিনটি নির্মাণের জন্য মোট এক বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে।
২০১৪ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের শ্রীলঙ্কা সফরের সময়ই আনুষ্ঠানিকভাবে এ সফর শুরু হয়েছিল। যদিও দেশটিতে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকল্পটির বাস্তবায়ন বন্ধ হয়ে যায়।