ক্রীড়া প্রতিবেদক: করোনার কারণে লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশ। এ অবস্থা থেকে দ্রুতই বের হতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এজন্য সংস্থাটি তাকিয়ে আগামী মাসে হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা সফরের দিকে। কিন্তু এরইমধ্যে কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের এ সফর পড়েছে চরম অনিশ্চয়তায়।
বিসিবি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় যেয়ে ৭ দিনের বেশি কোয়ারেন্টাইনে থাকা সম্ভব নয় টাইগারদের। অন্যদিকে লঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১৪ দিনের কম কোয়ারেন্টাইন মানবে না। কয়েকদিন আগেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে বিসিবি। মূলত এরপরই টনক নড়ে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের। আর তাই সংস্থাটি এবার ৭ দিন করে দুই ধাপে কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ করার প্রস্তাবনা দিয়েছে। তার মানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড ঠিকই কাটাতে হবে টাইগারদের।
তবে নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ৭ দিন দেশ থেকে কোয়ারেন্টাইন শেষ করে বাকি ৭ দিন কলম্বোয় শেষ করতে পারবে বাংলাদেশ দল। যদিও এখন পর্যন্ত এটা প্রস্তাবনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা বিসিবি-কেউই এই প্রস্তাবনায় ‘হ্যাঁ’ বলেনি। তবে অনিশ্চয়তায় পড়ে যাওয়া লঙ্কা সফরে আলোর রেখা দেখা দিয়েছে নিশ্চয়ই। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্চের শুরু থেকে কারফিউ জারি করে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম বলছে, করোনার পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী। দ্বীপরাষ্ট্রে সফরের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীরও সবুজ সংকেত প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিঠি পেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে লঙ্কান বোর্ড। ক্রীড়ামন্ত্রী ও বোর্ড প্রেসিডেন্ট বৈঠক করেছেন দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে।
এ ব্যাপার নিয়ে ‘ক্রিকইনফো’র সঙ্গে আলাপে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাভিন বিক্রমারত্নে বলেন, ‘কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। সবাই একমত যে, এই সফরটা হওয়া উচিত। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শও বিবেচনায় আনতে হবে আমাদের।’ সবকিছু ঠিক হলে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যাবে বাংলাদেশ। ২৪ অক্টোবর প্রথম টেস্ট খেলবে দুই দল।