ষোড়শ সংশোধনী পুনরায় পাস করা হবে: অর্থমন্ত্রী  

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আবারও এটি সংশোধন করা হবে।

গতকাল সিলেটে প্রস্তাবিত মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ আইনটি আমরা অ্যাসেম্বলিতে আবার পাস করবো। এ কনস্টিটিউশনাল অ্যামেন্ডমেন্টটা আমরা আবার পাস করবো এবং অনবরত করতে থাকবো। দেখি জুডিশিয়ারি কতদূর যায়। বিকজ, জুডিশিয়ারির পজিশন আমার মতে আনটিনেবল (অন্যায্য)। মানুষের প্রতিনিধিদের ওপর তারা খোদকারী করবে? তাদের আমরা চাকরি দিই।

দুপুরে দক্ষিণ সুরমায় সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভূমি পরিদর্শন করতে যান অর্থমন্ত্রী। সেখানে ষোড়শ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রসঙ্গ তুলে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।

এর আগে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।

সুপ্রিমকোর্টের ৯ আইনজীবীর এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে গত ৩ জুলাই আপিল বিভাগেও ওই রায় বহাল থাকে, যার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতেই রাখা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর পর বিচারক অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়।

৭৫-এর পটপরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এনে বিচারক অপসারণের বিষয় নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন।

সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী আদালতে অবৈধ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনলেও তাতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায়ের ফলে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা আবারও জাতীয় সংসদ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে যাচ্ছে।

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০