শেয়ার বিজ ডেস্ক: ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এক ঘণ্টা বঙ্গভবনে অবস্থান করেন।
বৈঠকশেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণগুলোর বিষয়ে আমাদের দলের অবস্থানের কথা রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেছি। রায় নিয়ে আমাদের দলের প্রকৃত অবস্থান কী সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক, প্রধান বিচারপতি তিনিই নিয়োগ দেন। তাকে আমি বিষয়টি জানিয়েছি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যেসব কথাবার্তা হয়েছে সে বিষয়েও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছি। এছাড়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের এই সাক্ষাতে তিনি কিশোরগঞ্জে তার এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন বলেও জানান সড়ক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সব সময় তার এলাকায় বাই রোডে যেতে পারেন নাÑসব সময় দুঃখ করে এ কথা বলেন। আমরা তার এলাকার রাস্তা তৈরির যে কাজ করছি সে বিষয়ে কথা বলতে এসেছি। কথা প্রসঙ্গে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণের বিষয়টি সামনে আসে।
এদিকে ওবায়দুল কাদেরের সাক্ষাতের কিছুক্ষণ আগে জš§াষ্টমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে বঙ্গভবন ছাড়েন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। তার সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। এখানে যে অনুষ্ঠান আছে আমার জানা ছিল না। রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে, শেষ হওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।
এর আগে শনিবার রাতে তিনি প্রধান বিচারপতির কাকরাইলের বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে যান। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘আক্রমণাত্মক’ বক্তব্যের মধ্যেই তিনি এ উদ্যোগ নেন। উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের যে পরিবর্তন ষোড়শ সংশোধনীতে আনা হয়েছিল, তা অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় গত ১ আগস্ট প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্ট। ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তাতে ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ তুলে রায়ে সংক্ষুব্ধ সরকারি দল কড়া সমালোচনা করছে। তবে বিএনপি রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলছে।
Add Comment