ষড়যন্ত্র আর আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না: কৃষিমন্ত্রী

প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ষড়যন্ত্র আর আন্দোলন করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান বৈধ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। আমরা কোন আন্দোলন সংগ্রামকে ভয় পাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ উন্নয়নের দিকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের এই জোয়ারে সকল ষড়যন্ত্রকারী ভেসে যাবে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্ররাই ছাত্রলীগ করবে। অছাত্র, বেশি বয়সি ও বিবাহিতদেরকে ছাত্রলীগে স্থান দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে যে নীতিমালা রয়েছে তা কঠোরভাবে মানা হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল,  সুদক্ষ ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনার ও দর্শনের সংগঠন। আর এই সংগঠনের নেতা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের কর্মীদের এ বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে। সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এমন কোন কাজে জড়িত হওয়া যাবে না।’

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোনও বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ইউপির মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। একটিতেও বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।’

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, ছানোয়ার হোসনে এমপি, আতাউর রহমান খান এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী এমপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।

জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে জেলার প্রতিটি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা সম্মেলনে অংশগ্রহন করেন। এ সম্মেলনকে ঘিরে পুরো জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ একযুগ পর টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক সম্মেলনে নাজমুল হুদা নবীন সভাপতি ও ইসতিয়াক আহমেদ রাজিব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৫ সালের ২৪ জুন সম্মেলন ছাড়াই ইসতিয়াক আহমেদ রাজিবকে সভাপতি ও শামীম আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই কমিটির অপর অংশের দ্বারা বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। পরে ২০১৭ সালের ১৯ মে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলকে আহ্বায়ক করে ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০