Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 9:57 pm

সংকটময় সামগ্রিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে কবে

হাবিব উল্লাহ রিফাত: বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ বাংলাদেশ। জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বা ১৭ কোটি জনগোষ্ঠী, অনুপাত ও সংখ্যার বিচারে যা মোটেও কম নয়। সীমিত সম্পদ নিয়ে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়।

এসবের মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিকসহ একাধিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্য। চলতি বছরে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে ৩ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে। উদ্ভূত এ চ্যালেঞ্জগুলো হলোÑজ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস।
এ কথা অনস্বীকার্য যে, মহান স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বহুদূর এগিয়েছে। অথচ এমন একটা সময় গিয়েছিল যখন বাংলাদেশের অতীতের সঙ্গে জড়িত ছিল নি¤œমানের স্বল্প খাবার, স্বল্প ক্যালরি-প্রোটিন গ্রহণ, নি¤œমানের বস্ত্র পরিধান, নি¤œ মজুরির কাজ, চিকিৎসাহীন জীবন, নিরক্ষরতা, বেকারত্ব সর্বোপরি নি¤œতর জীবন দেশের জনসাধারণের সামগ্রিক চিত্র।

তবে সে অতীতকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ থেকে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের কাছে তুলে ধরার মতো বাংলাদেশের অনেক কিছুই আছে। শত বাধা ও অতীতের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র তকমা ঝেড়ে ফেলে অনেক দূর এগিয়েছে সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামল এ দেশটি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে বা প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, তার ৭০ শতাংশই অর্জিত হয়েছে গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের শাসনামলে। এ সময়ে ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪৬৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। সরকারের ধারাবাহিক তিন মেয়াদে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার কারণে অর্থনীতিতে বড় ধরনের রূপান্তর ঘটেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে; যার বর্তমান অবস্থান ৩৫তম। এক দশকে বাংলাদেশ গড়ে ৬.৩ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়া-প্যাসিপিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অপার সম্ভাবনাময়।

আধুনিক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অর্থনীতি। অর্থনীতিই একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি। বর্তমান সমাজজীবনে মানুষ যত সমস্যার মুখোমুখি হয় তার ব্যাপক অংশই অর্থনৈতিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুমুখী সংকটের মুখোমুখি। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। চলতি বছর বাংলাদেশকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন কমানো, খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের মতো বড় ধাক্কা সামাল দিতে হবে। সে অর্থে ২০২৪ সাল কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বাংলাদেশের অর্থনীতি।

প্রথমত, ডলার সংকটের কথা বলা যাক। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অর্থনীতিতে ডলার সংকট সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ডলারের রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। তার মধ্যে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার এবং কোরিয়া, আইবিআরডি, আইডিবি ইত্যাদি বাহ্যিক উৎস থেকে প্রাপ্ত প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। সে হিসেবে বাংলাদেশের মোট রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার দায় কেটে নেয়ার পর নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকানো যাচ্ছে না; দ্বিতীয়ত, সরকারের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি। প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। অপরপক্ষে, বাহ্যিক উৎস থেকে তথা বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ডলার। শুধু তাই নয়, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের প্রাক্কলিত সুদ ব্যয়। অর্থ বিভাগের তথ্যমতে, আগামী ৩টি অর্থবছরে (২০২৪-২৭) সরকারের ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৪ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। এতে করে হিমশিম খেতে হবে ঋণের কিস্তি পরিশোধেও; তৃতীয়ত, পরিমিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় বাজেট ঘাটতি। উল্লেখ্য, কর আদায়ের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ।

পরিমিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় প্রতিবছর ঘাটতি বাজেট সৃষ্টি হয়। এবারের বাজেট যেহেতু সংকোচনমূলক, সেহেতু বাজেটঘাটতি আরও কম রাখা যেত। এখন বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেবে, সে ক্ষেত্রে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ঋণপ্রাপ্তি সীমিত হয়ে পড়বে; চতুর্থত, মূল্যস্ফীতির কথা না বললেই নয়। আমাদের বর্তমান মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও গত দুই বছরে সরকারের নানা পদক্ষেপ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যত বিশেষ কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অথচ দেউলিয়াত্ব বরণ করতে যাওয়া প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা নাটকীয়ভাবে তাদের মূল্যস্ফীতির হারকে ১ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আসতে পেরেছে, যেটা অভূতপূর্ব; পঞ্চমত, দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত ব্যাংকিং খাত এখন ঝুঁকির মুখে।

মূলত কঠোর নীতির অভাবে ব্যাংক ব্যবস্থায় আজ পচন ধরেছে। ব্যাংকগুলো কুঋণের দুষ্টচক্রে আটকে গেছে। নিয়মনীতি না মেনে কিছু গোষ্ঠীর কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। এতে করে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। দ্য ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গেল ১ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, খেলাপি ঋণ এখন বিজনেস মডেল হয়ে গেছে। এ অবস্থা জারি থাকলে ব্যাংক খাতে ধস আসন্ন। সুতরাং কালক্ষেপণ না করে ব্যাংক খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি কীভাবে ব্যাংক খাতকে পুনর্গঠন করা যায় সে ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের চিন্তা করার সময় এসেছে; ষষ্ঠত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনীতির দুষ্টচক্রের একটি ভয়াবহতা হলো দুর্নীতি ও অর্থ পাচার। দুর্নীতি ও অর্থ পাচার জোকের মতো চুষে নিচ্ছে উন্নয়নের সকল সুফল।

সম্প্রতি সাবেক এক পুলিশপ্রধান এবং ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা এক রাজস্ব কর্মকর্তার প্রশাসনিক দুর্নীতির গোমর ফাঁস হয়েছে। উক্ত ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, চাইলেই সীমিত বেতনের সরকারি চাকরি করেও রাষ্ট্রযন্ত্রের নানা দুর্বলতার সুযোগে অবৈধ সম্পদ অর্জন অসম্ভব কিছু নয়।
এছাড়া আমাদের অর্থনীতিতে লৌহ ত্রিভুজাকৃতির একটা দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে। তারা একে অপরের যোগসাজশে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে। পত্রিকার খবরে বেরিয়েছে, গত ৫০ বছরে বিভিন্ন মাধ্যমে দেশ থেকে প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, গণমাধ্যমে উঠে এসেছে দুবাইতে ৫৬০ জন বাংলাদেশির সম্পদ ও বাড়ি-গাড়ির কথা। এছাড়া কানাড়ার বেগমপাড়া থেকে শুরু করে মালেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশিদের সম্পদের কথা তো সর্বজনবিদিত।

আদতে, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের চোরাবালিতে পথ হারাচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা। ফলে বিঘিœত হচ্ছে কাক্সিক্ষত সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানব উন্নয়ন কর্মসূচি। চলমান মূল্যস্ফীতির চাপে যেখানে সাধারণ মানুষ পিষ্ট সেখানে দেশে কোটিপতির সংখ্যার উল্লম্ফন ভাবনার বিষয়। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতার নীতি’ পুরোপুরি কার্যকর করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথ যাতে অবরুদ্ধ না হয়ে পড়ে সে জন্য দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এ জন্য দুদকের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে; সপ্তমত, দেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘ সময় মন্দা অবস্থা পার করছে। এ অবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে শেয়ারবাজার বৈরী পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হয়েছে। বিনিয়োগের লাভজনক ক্ষেত্র শেয়ারবাজারের ওপর যেকোনো আঘাত হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই শেয়ারবাজারকে প্রভাবিত করা, ফটকা বাজারি এবং তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা জরুরি। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্ভূত বিপর্যয়ের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে।

আমাদের অর্থনীতিতে আরেকটি বড় সমস্যা হলো আমদানিনির্ভরতা, যার ফলস্বরূপ অসম বাণিজ্য ঘাটতি। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় ২১০টি দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে। তার মধ্যে ৮২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এই বাণিজ্য ঘাটতিকে কমাতে আমাদের বাণিজ্যিক কূটনীতিতে মনোযোগী হতে হবে। সেজন্য রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। এছাড়া ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থায় টিকে থাকার জন্য দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে বিদেশিদের সামনে তুলে ধরতে হবে, যাতে প্রত্যাশিত বৈদেশিক বিনিয়োগ আসে।

সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে, মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাÑএই পাঁচটি মৌলিক অধিকার (কিংবা সমস্যা) ভারসাম্য বিনষ্ট হলে তা মানুষের অস্তিত্বের ওপর প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের ধারণা, গত কয়েক বছরে অর্থনীতি যেসব সংকট বা সমস্যায় পড়েছে, সেগুলো সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সংকট আরও গভীর হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদি ও বিচ্ছিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনীতির সংকট কোনোমতেই রোধ করা সম্ভব নয়। কেবল বাস্তব এবং তথ্যভিত্তিক ধারাবাহিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে এ সমস্যার সমাধান আশা করা যেতে পারে।

একটি জাতি বা রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জš§ হয় বিপুল আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে। গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা সমৃদ্ধ একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা, যেখানে শোষণ-বঞ্চনা-বৈষম্য থাকবে না, অর্থনীতি হবে স্বনির্ভর। কিন্তু সে আকাক্সক্ষার সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কি? অর্থনীতির সাময়িক ঘাত প্রতিঘাতই রাজনৈতিকভাবে বেশি বিপজ্জনক। কাজেই আত্মগরিমা, অহংকার আর বাগাড়ম্বরের শৃঙ্খলে আবদ্ধ না থেকে কিংবা একে অপরের সাফল্য-ব্যর্থতার পরিসংখ্যান না ঘেঁটে দুঃসহ অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের উপায় বের করতে হবে।