নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান ডলার সংকটে নিজেদের আমদানির চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য ব্যাংকে ডলার সহায়তা দিচ্ছে প্রিমিয়ার ব্যাংক। গতকাল ব্যাংকের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এমনটাই জানান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এম রিয়াজুল করিম।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবাল হোসেন, পর্ষদের সদস্য সচিব বিএইচ হারুন, মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, জামাল জি আহমেদ, নাহিয়ান হারুন, স্বতন্ত্র পরিচালক নব গোপাল বণিক, কায়জার এ চৌধুরী ও উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলীসহ অন্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে এমডি বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংক শুরু থেকে গণমানুষের ব্যাংক হিসেবে কাজ করছে। গ্রাহকের আস্থা অর্জন করে প্রথম সারির ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। গত চার বছরে ব্যাংকের অগ্রযাত্রা অতুলনীয়। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রিমিয়ার ব্যাংক সব ধরনের সূচকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি ব্যাংক হয়ে উঠবে।
ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, গত চার বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসেও প্রিমিয়ার ব্যাংক ধরে রেখেছে। সব সূচকেই ভালো অবস্থানে রয়েছে। গত ৯ মাসে ব্যাংকের আমানত বৃদ্ধি ৯ শতাংশ, ঋণ বৃদ্ধি পাঁচ দশমিক ১৬ শতাংশ, মুনাফা বৃদ্ধি ৪০ শতাংশ, আমদানি বৃদ্ধি ১৮ শতাংশ, রপ্তানি বৃদ্ধি ৭০ শতাংশ ও রেমিট্যান্সে বৃদ্ধি ৫৩ শতাংশ। গত ৯ মাসে প্রিমিয়ার ব্যাংক তাদের আমদানি দায় মিটিয়ে সংকটে থাকা অন্যান্য ব্যাংককে ফরেন ক্যারেন্সি সহায়তা দিচ্ছে। কারণ আমাদের আমদানির তুলনায় রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি অনেক ভালো। এছাড়া খেলাপি ঋণের হার বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ভালো অবস্থানে রয়েছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবাল হোসেন বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংক এমন একটি অবস্থান তৈরি করেছে, এখন সবাই এ ব্যাংকে ফলো করে। আজকের এ সফলতার পেছনে ব্যাংকের সব পর্যায়ের কর্মকর্তার অবদান রয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক সবসময় কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন করে। এর একটা উদহারণ কভিডের সময় একজনকেও চাকরি হারাতে হয়নি। বরং নতুন করে আরও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কভিডের সময় বেতন-বোনাস পুরোপুরি দেয়া হয়েছে।
চলমান সংকট নিয়ে তিনি বলেন, চলমান সংকট ব্যাংক খাত মোকাবিলা করছে। তবে এ সংকট মোকাবিলায় ব্যাংকগুলো হিসাব করে চলছে। যারা হিসাব করে চলবে তারা এগিয়ে যাবে। আর যারা চলবে না তারা ভুগতে হবে। বিপদ সামনে আসবে এটা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
