সংকটের অবসান, বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক: অবশেষে শঙ্কা কাটলো। চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল। প্রায় এক মাস ধরে বেতন-ভাতা  নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার  (সিএ) সঙ্গে যে বিরোধ ছিল ক্রিকেটারদের, তা কেটে গেছে। গতকাল এর সুন্দর ও যৌক্তিক সমাধান হয়েছে। এরপরই ক্রিকেটাররা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই নির্ধারিত তারিখেই বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে জানিয়েছে তারা।

সিএ’র একজন মুখপাত্র বলেন, ‘বোর্ডের নির্বাহী প্রধান জেমস সাদারল্যান্ড ও এসিএ’র পরামর্শক অ্যালিস্টার নিকোলসন সমঝোতা চুক্তির ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করে উভয়ে যৌথ ঘোষণা দেবেন।’ ক্রিকেটাররা দীর্ঘ এক মাস তাদের প্রাপ্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছে, তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ বর্জনের হুমকি দিয়েছিল। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকায় অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের সফরও বর্জন করে। এবার তার সমাধান হলো।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) দুই পক্ষ আলোচনায় বসে শান্তিপূর্ণ পন্থায় সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তির মূল বিষয়বস্তু ছিলÑখেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি ও রাজস্ব খাত থেকে অর্থ প্রদান। বিশেষ করে রাজস্ব খাত থেকে কী পরিমাণ অর্থ খেলোয়াড়রা পাবে, সেটাই চুক্তি হয়েছে। সিএ এই রাজস্ব খাত থেকে টাকা প্রদান করতে অস্বীকার করছিল। তারা খেলোয়াড়দের দাবি মেনে নিয়ে রাজস্ব খাত থেকে অর্থ প্রদানে নীতিগতভাবে সম্মতি প্রকাশ করেছে। এ চুক্তির ফলে সব পুরুষ ও নারী ক্রিকেটার মাসিক ভিত্তিতে পারিশ্রমিক পাবেন।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী সব ক্রিকেটার রাজস্ব খাত থেকে ৩০ শতাংশ অর্থ পাবেন। সেভাবেই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। পূর্ববর্তী নিয়মে শুধু পুরুষ ক্রিকেটাররা রাজস্ব খাত থেকে ২৬ শতাংশ অর্থ পেতেন। প্রমীলা ক্রিকেটাররা রাজস্ব খাত থেকে কোনো টাকাই পেতেন না। এবার এ বৈষম্য দূর হলো। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের রাজস্ব আয়ের ৮০ শতাংশ আসে সিএ’র তহবিল থেকে।

এদিকে গতকাল সিএ নির্বাহী প্রধান জেমস সাদারল্যান্ড ও এসিএ পরামর্শক অ্যালিস্টার নিকোলসন যৌথ বিবৃতিতে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি অবহিত করেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সঙ্গে যদি বোর্ডের সমঝোতা না হতো, তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতো অ্যাশেজ সিরিজের। ক্রিকেটের এ ঐতিহ্যবাহী আসর প্রচারের জন্য স্কাই মিডিয়ার ৩ কোটি পাউন্ডের ক্ষতি হতো।

সমঝোতা চুক্তি হওয়ায় খুশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গতকাল বলেন, ‘আমরা সব সময়ই আশাবাদী ছিলাম সিরিজের আগেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের বিশ্বাস ছিল তারা আসবে। এজন্য কখনই হতাশ হইনি আমরা।’

এমনিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে ফতুল্লায়। কিন্তু মাঠটি ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত নয় বলে জানায় মাঠ কর্তৃপক্ষ। বর্ষায় পানি জমে আছে চারপাশে। এ নিয়ে ভাবছে বিসিবিও। ভেন্যুর ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেন, ‘ফতুল্লা ভেন্যু এ সময়ের মধ্যে ঠিক না হলে বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচ হতে পারে।’

সবকিছু ঠিক থাকলে ১৮ আগস্ট বাংলাদেশে আসবেন স্টিভেন স্মিথরা। সফরে স্বাগতিকদের সঙ্গে দুটি টেস্ট খেলবে তারা। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচটি ২২ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। টেস্টের লড়াই শুরু ২৭ আগস্ট। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট। সিরিজের বাকি টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হবে সেই টেস্ট।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০