শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুদ্ধ ও মহামারির মতো সংকট এড়াতে নিজেদের বাড়িতে বাংকার তৈরি করতে চান ইউরোপের ধনীরা। সম্প্রতি পোল্যান্ডের এক প্রতিষ্ঠান জার্মানির ধনীদের নিরাপত্তার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। খবর: ডয়েচে ভেলে।
যুদ্ধ ও মহামারিতে বিপর্যস্ত ইউরোপের মানুষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজস্ব বাংকার তৈরির পরিকল্পনা করছেন মহাদেশটির অনেক বিত্তবান।
এক প্রতিবেদনে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, পোল্যান্ডের অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান ফেরোপ্লাস্ট সম্প্রতি বাংকার তৈরি শুরু করেছে। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থেকে সুরক্ষার জন্য শেল্টার সামগ্রী তৈরির কাজ করছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ডাভিড রিবিকি জানান, বর্তমানে তারা কারখানায় ওয়েল্ডার বুলেটপ্রুফ এআর ইস্পাত দিয়ে আশ্রয়ের জন্য স্টিল হ্যাচ ওয়েল্ডিং তৈরি করছেন। এতে মোট ছ’টি তালা থাকায় বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এর ভেতরে পরিবার নিয়ে লুকিয়ে থাকা যায়। এ ধরনের বাংকার বহনযোগ্য, ট্রাকে করে এনে কংক্রিটের খাঁজে নামিয়ে দেড় মিটার মাটি চাপা দিলেই হবে।’
তিনি আরও জানান, এক ধনকুবেরের বাড়ির পেছনে ফলআউট শেলটার তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রণালির মধ্যে আপৎকালীন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ডিজেলের জেনারেটর রয়েছে। বাতাস নির্মল রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে। ডাভিড রুবিকির ভাষ্য, বাইরে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটলে এ প্রণালি গামা রশ্মির প্রতিটি রেডিয়েশন পার্টিকেল বা কণা ফিল্টার করে। শেল্টারের মধ্যে বাতাস চালান করা হয়। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপায়ও রয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে ঘণ্টায় ২০ মিনিট ধরে হ্যান্ড ক্র্যাংক ঘোরালে তাজা বাতাস প্রবেশ করবে। বিলাসবহুল এ ফলআউট শেলটারে আটজন মানুষ ভালোভাবেই বাস করতে পারেন। শোয়ার জায়গা, বাথরুম, রান্নাঘর ও বসার ঘর রয়েছে। এমন সুরক্ষার দাম সাড়ে তিন থেকে ছয় লাখ ইউরো।
ডাভিড রিবিকি মূলত জার্মানির ধনীদের জন্য বাংকার তৈরি করেন। বার্লিনভিত্তিক বিএসএসডি কোম্পানি তার গ্রাহক। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের বিক্রি বেড়েছে। বিএসএসডির মার্ক শ্মিশেন বলেন, আগে দিনে প্রায় ১০০ ভিজিটর আসতেন। আচমকা সেটা বেড়ে ১০ হাজার হয়েছে। দুই বছর আগে আমরা কভিডের মুখে পড়েছিলাম। এখন যুদ্ধ চলছে। চীন ও তাইওয়ান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত রয়েছে। খাদ্য সংকট আসছে। তাই নিরাপদ বোধ করার সমাধান দিচ্ছি আমরা।