চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন

সংগঠনের ‘ভাবমূর্তি’ উদ্ধারের অঙ্গীকার সায়েদুজ্জামান-সাজ্জাদ-আজিম পরিষদের

## লাইসেন্সিং বিধিমালার অসঙ্গতি দূর করতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে

## কালো আইন বাতিলে প্রয়োজনে জেলে যাবে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংগঠনের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার, লাইসেন্সিং বিধিমালার অসঙ্গতি দূর, উত্তোরাধিকার সূত্রে লাইসেন্সিং এর সমস্যা নিরসন, সর্বোপরি সদস্যদের কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনে লড়ছে সায়েদুজ্জামান-সাজ্জাদ-আজিম পরিষদ। ‘চিটাগাং কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সম্মিলিত-সমমনা ঐক্যজোট মনোনীত এই পরিষদ সদস্যরা নির্বাচনে লড়ছেন। আগামী ৯ মার্চ বুধবার সিএন্ডএফ এজেন্টদের সবচেয়ে বড় সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিষদ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, সংগঠনের ভাবমূর্তি উদ্ধারে বিশেষ করে কালো আইন পরিবর্তনে প্রয়োজনে জেলে যাবেন বলে সদস্যদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এছাড়া নির্বাচিত হলে আগামী দুই বছর সংগঠনের সাধারণ সদস্যদের কল্যাণে কি কি কাজ করবেন-তার ইশতেহার ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন।

  • সম্মিলিত-সমমনা ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থীরা হলেন-সভাপতি পদ প্রার্থী মো. সায়েদুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম, প্রথম সহ সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসাইন, দ্বিতীয় সহ সভাপতি মো. নুরুল আবছার, তৃতীয় সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম নূর মোহাম্মদ, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, দ্বিতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঞাঁ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক এ এস এম রেজাউল করিম স্বপন, কাস্টমস বিষয়ক প্রথম সহ সম্পাদক মনসুর উল আমিন রিয়াজ, দ্বিতীয় সহ সম্পাদক মো. সারাফত উল্যাহ শিপন, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. মোর্শেদ আলী, বন্দর বিষয়ক প্রথম সহ সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন খন্দকার, দ্বিতীয় সহ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এম এ আজিজ হাওলাদার, প্রচার ও দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসিউদ্দিন আলম রুমি, সাংস্কৃতিক, শ্রম ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. সফিউল আলম খোকন। এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আবু সালেহ, মো. আবু তাহের, চিত্ত সাহা, মো. এনামুল কবির বাচ্চু, এস এম ফরিদুল আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন চৌ্ধুরী, মো. শফিউল আজম খান, মো. মহিবুর রহমান চৌধুরী মিনাল, একরামুল হক মামুন, মো. ওয়ালী উল ইসলাম, মো. কামরুজ্জামান ও মো. মোফাজ্জল হোসেন মাহফুজ।

সায়েদুজ্জামান-সাজ্জাদ-আজিম পরিষদ থেকে বলা হয়েছে, এই সংগঠন এক তলাবিহীন ঝুড়ির বৃত্তে আবদ্ধ হয়ে এখন প্রায় রুগ্ন। সদস্যদের রুটি-রুজির উৎসস্থল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও বন্দরে প্রতিনিয়ত পাহাড়সম সমস্যা বিরাজমান থাকলেও ক্ষমতাসীনদের সর্বক্ষেত্রে নিলির্প্ততা অ্যাসোসিয়েশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। অস্তিত্ব গভীর সংকটে পড়েছে। সিএন্ডএফ মালিক হিসেবে ন্যূনতম সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। এখন সময় এসেছে বিচার-বিশ্লেষণ করার। অভিভাবকহীন হয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত প্রতিবাদহীন অন্যায় মেনে নিয়ে বোবা কান্নায় আত্মসমর্পিত হতে হয়েছে। হৃদয়ের ক্ষত বোবা কান্নায় প্রতিদিন প্রতিবাদ মুখর হয়েছে। অপেক্ষায় ছিলাম কখন সময় হবে কষ্টের ভাষা প্রকাশের। আগামী ৯ মার্চ বুধবার আমাদের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। নিরব কষ্টের বর্হি:প্রকাশ নিরব ব্যালটের মাধ্যমে করতে সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কয়েকটি বড় অসঙ্গতি দেখা দিলেও সংগঠনের বর্তমান নেতৃবৃন্দ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো উত্তরাধিকার সূত্রে লাইসেন্স প্রাপ্তি। যাতে বর্তমানে কোন সদস্যের মৃত্যু হলে লাইসেন্সের মালিকানা পরিবর্তনে উত্তরাধিকারীকে স্নাতক বা সমমান ডিগ্রীধারী হতে হবে। মালিকানা পরিবর্তনের জন্য সেই উত্তরাধিকারীকে পরীক্ষা দিতে হবে বলে এক ধরনের কালো আইন রয়েছে। দ্বিতীয়ত, এ আই আর কর্তৃক কায়িক পরীক্ষার নামে হয়রানি। তৃতীয়ত, অব্যবহৃত লাইসেন্স সার্ভিলেন্স। চতুর্থত, শুল্কায়ন সংক্রান্ত আদেশ ও সিদ্ধান্ত পালন না করে সিএন্ডএফ এজেন্টদের হয়রানি ও কর্মকর্তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণ বিষয়ে প্রতিবাদ না করা। পঞ্চমত, বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত না হওয়া সত্ত্বেও শুল্কায়ন কর্মকর্তারা প্রায় নিজ মর্জিতে কায়িক পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা। এছাড়া আরো বহু সমস্যা থাকলেও এসব বিষয়ে বর্তমান নেতৃবৃন্দ কোন প্রতিবাদ বা সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ নেয়নি।

সায়েদুজ্জামান-সাজ্জাদ-আজিম পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হলে সংগঠন ও সংগঠনের কল্যাণে যেসব কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-লাইসেন্সিং বিধিতে অসঙ্গতিপূর্ণ ধারাগুলো সংশোধনের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা। উত্তরাধিকার লাইসেন্স প্রাপ্তিতে বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া। কারণ দর্শানো নোটিশ জারি না করে যখন তখন অযৌক্তিকভাবে লাইসেন্স স্থগিতের ধারা রহিতকরণে ব্যবস্থা নেয়া। এছাড়া সদস্যদের মেধাবী সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার্থে বৃত্তি চালু, সদস্যদের আবাসন সুবিধার আওতায় আনা ইত্যাদি।

অ্যাসোসিয়েশনের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এই পরিষদ কাজ করবে জানিয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে লাইসেন্সিং বিধিমালার বেশ কিছু কালো আইন আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করাকে আমরা সংগঠনের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার বলেছি। বর্তমান নেতৃবৃন্দ এই কালো আইন থেকে সাধারণ সদস্যদের নিস্তার দিতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উত্তরাধিকার সূত্রে লাইসেন্সিং এর জন্য সদস্যরা পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের জন্যও সংগঠন থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সদস্যদের এসব সমস্যা থেকে উত্তরণকে আমরা সংগঠনের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার বলছি। সদস্যদের সমস্যা সমাধা তথা পরিবর্তনের জন্য আমাদের পরিষদকে একটিবার সুযোগ দিতে সদস্যদের প্রতি অনুরোধ করছি। আমি কথা দিচ্ছি, আমাদের পরিষদ যদি জিততে পারে-আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে লাইসেন্সিং বিধিমালার অসঙ্গতিগুলো দূর করতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা। অধিকারগুলো ফিরিয়ে আনতে সাধারণ সদস্যদের এই পরিষদের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০