নিজস্ব প্রতিবেদক:‘সংঘর্ষের ঘটনা প্রত্যাশিত নয়, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের প্রচারণায় হামলা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিকে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের বিচার চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। আর ইশরাক হোসেনের জনসংযোগে হামলার ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রাজধানীর গোপীবাগে ইশরাক হোসেনের বাসায় রোববার বিকাল ৩টার দিকে ইশরাক হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ‘আমি সব মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করছি। তারই অংশ হিসেবে আজ বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া সবারই কাম্য। আমি আশা করব, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করি। নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় সংঘর্ষ কোনোভাবে হওয়া উচিত নয়। সংঘর্ষ আমরা প্রত্যাশা করি না। আমি আশা করব, সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবেন।’
এদিকে রাজধানীর আগারগাঁও বিএনপি বাজার এলাকায় জনসংযোগ শুরু করার আগে রোববার বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইশরাকের প্রচারণার হামলা হয়েছে। এর আগে তার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আমার জনসংযোগেও হামলা হয়েছে। এসব হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনুন। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। প্রচারণার বাকি পাঁচ দিন এবং ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিনগুলোতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। সব ধরনের ভয়ভীতি ও বাধা উপেক্ষা করে সকাল-সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। আর ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে।’
অপরদিকে রাজধানীর গোপীবাগে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী ইশরাক হোসেনের জনসংযোগে হামলার ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর। আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘টিকাটুলিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণার সময় নৌকা ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের যে ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, দুই গ্রুপ পুলিশকে না জানিয়েই সেখানে গেছে। দুই গ্রুপ মুখোমুখি হওয়ায় ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, তাদের জানালে এমনটা হতো না। আমি বলেছি, কমিশনকে দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য।’
‘কমিশনের সভায় সিটি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি ছিল না’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘ইসি সচিবালয় শুধু আদেশ পালন করে। কমিশনাররা যা বলেন, সেটি নথিতে দেওয়া হয়। পরে সিইসি অনুমোদন দিলে সেটি বাস্তবায়ন করা হয়। সম্পূর্ণ বিষয় কমিশনের। কী আলোচনা হবে, আর কী হবে নাÑসেটিও কমিশনের সিদ্ধান্ত।’